আরজি করের ঘটনা নিয়ে যেই আন্দোলন চলছে তাতে রাজ্য সরকার যেন কোন বল প্রয়োগ না করে। মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানির সময় একথা বললো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আরজি করে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ এবল মধ্য রাতে হাসপাতালের হামলার ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য পথে নেমেছেন সমাজের সব অংশের মানুষ। স্লোগান উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের। সাধারণ নাগরিকদের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর বার বার নেমে আসছে প্রশাসনের বল। রবিবার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবের সমর্থকদের। জলপাইগুড়িতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে বিঞ্জানীদের। মাঝরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই কর্মীদের। লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে মীনাক্ষী মুখার্জি সহ সাতজন ছাত্র যুবদের।
দীনহাটায় নাগরিক মিছিল চলাকালিন হয়েছে হামলা। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ নমন্তব্য করেন যে, যারা মমতা ব্যানার্জির দিকে আঙুল তুলছে তাদের আঙুল ভেঙে দেওয়ার সময় এসেছে। তারপরই সোমবার হয় হামলা। নীরব থেকেছে পুলিশ। ঠিক যেমন ছিল ১৪ আগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার সময়।
এছাড়া এদিন শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয় যে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্তৃব্য আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। হাসপাতালের যেই জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে তা সুরক্ষিত রাখাও তাদের কর্তব্য। কিন্তু সরকার তা করতে ব্যার্থ হচ্ছে।’’
আরজি করের ঘটনার কয়েকদিন পরেই সংস্কারের নাম করে ভাঙা হয় ওই সেমিনার রুম। এসএফআই ডিওয়াইএফআই কর্মীরা সেই ভাঙা আটকায়। তারপর হয় ১৪ আগস্টের হামলা। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘প্রথমে সংস্কারের নাম করে সরকারি ভাবে প্রমান লোপাট করতে চেয়েছিল পারেনি। তাই দলের লোক দিয়ে ১৪ তারিখ রাতে হামলা চালায়।’’
Supreme Court
বল প্রয়োগ করে আন্দোলন দমাতে পারবে না সরকার : সুপ্রিম কোর্ট
×
Comments :0