গাজা ভূখণ্ডের গাজা শহরের পরে এবার মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরেও হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইজরায়েলী সেনা। হামাস জানিয়েছে, রাফায় নতুন করে অভিযান শুরু হলে সমস্ত রকমের শান্তি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসবে তাঁরা।
রাষ্ট্রসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা এবং আরব রাষ্ট্রগুলির তরফেও ইজরায়েলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, রাফায় হামলা চালালে গোটা পশ্চিম এশিয়াজুড়ে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। কিন্তু তারপরেও রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে অনড় ইজরায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার।
আল জাজিরা জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় গাজায় কমকরে ১১২জন প্যালেস্তিনীয় প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও অবধি ইজরায়েলী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৮,১৭৬জন। আহতের সংখ্যা ৬৭,৭৮৪।
রাফায় ইজরায়েলী হামলা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও আমেরিকার ভূমিকাকে ভালো ভাবে নিচ্ছেনা আন্তর্জাতিক বিশ্ব। প্রসঙ্গত, আমেরিকার সমর্থন থাকার ফলেই ইজরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে পারেনি রাষ্ট্রসংঘ। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, রাফা হামলা নিয়েও দ্বিচারিতা করছে আমেরিকা।
মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানিয়েছে, গাজা শহর, খান ইউনিস সহ গোটা ভূখণ্ডের গৃহহীন মানুষের শেষ আশ্রয় হয়ে উঠেছে মিশর সীমান্ত লাগোয়া রাফা শহর। এখন সেখানেও যুদ্ধ শুরু হলে অভাবনীয় সঙ্কটে পড়বেন ১০ লক্ষের কাছে শরনার্থী। প্যালেস্তিনীয় সংগঠনগুলির অভিযোগ, ইজরায়েল প্রথম থেকেই চেষ্টা করছে, গাজার প্যালেস্তিনীয়দের অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করা। সেই অঙ্ক মেনেই রাফায় হামলা চালানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
এই অংশের মতে, ইজরায়েল এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, যে প্রাণ বাঁচাতে গাজার শরনার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে মিশরে চলে যান। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে সক্রিয় হয়েছে মিশরও। ইতিমধ্যেই রাফা সীমান্তে বাড়তি সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং সেনা মোতায়েন করেছে মিশর। গাজা এবং মিশর সীমান্তের মোট দৈর্ঘ ১৪ কিলোমিটার। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, গোটা সীমান্ত জুড়ে নিরাপত্তা দ্বিগুণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা ইউনিসেফের ডিরেক্টর ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘‘যে কোনও মূল্যে রাফার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতেই হবে, কারণ তাঁদের আর কোথাও যাওয়ার নেই।
Comments :0