Bangla Bachao Jatra

খেটে খাওয়া মানুষ এক হলে টিকতে পারবে না তৃণমূল এবং বিজেপি : মীনাক্ষী মুখার্জি

রাজ্য

মালদহে বাংলা বাঁচাও যাত্রা

‘লাল ঝান্ডা হিন্দু মুসলিমের কথা বলে না। আমরা শিক্ষা স্বাস্থ্যের কথা বলবো। আট হাজার স্কুল বন্ধ করে ২২ হাজার মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। মহিলাদের রক্তাল পোঁতার সমস্যা থেকে বাইরে আনতে হবে। আমরা বলছি রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে, যাতে গ্রামের ছেলে মেয়ে গুলো গ্রামে থাকে।’ মালদহের মালতিপুরের সমাবেশে বললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি। সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলেন, ‘ওরা খেটে খাওয়া মানুষকে ভয় পায়, তাই ওরা ভয় দেখায়। ওরা জানে খেটে খাওয়া মানুষ এক হলে ওরা টিকতে পারবে না।’  
বাংলা বাঁচাও যাত্রা বৃহস্পতিবার ষষ্ট দিনে পা দিয়েছে। এদিন বিশাল বাইক মিছিল দিয়ে শুরু হয় যাত্রা। সমাবেশে মীনাক্ষী বলেন, ‘কর্মসংস্থান নিয়ে সরকার মিথ্যা কথা বলছে। বলছে ২ কোটি চাকরি দিয়েছে। মানে বুথ পিছু ২৪৮, কিন্তু কোন বুথ ঘুরলে সেই সংখ্যা পাওয়া যাবে না। উনি বলছেন ৩৩ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছে। কিন্তু মালদহ ঘুরে এমন একজনকেও পাওয়া যাবে না। কোথায় গেলো টাকা? টাকা কি ভোট লুঠের কাজে ব্যবহার হবে? আমরা বলছি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেই রাজ্যে কাজের জন্য রয়েছে সেখানে যাতে তারা সামাজিক সুরক্ষা পায় সেই কাজ আমরা করবো।’


তিনি বলেন, ‘ওরা ১০০ দিনের টাকা নিয়ে নাটক করছে কিন্তু একবারও মজুরি বাড়ানোর কথা বলছে না, সেই কথা লাল ঝান্ডা বলছে। মালদহ জেলায় সাত লক্ষ লোকের জব কার্ড বন্ধ হয়ে গিয়েছে তিন বছর ধরে তারা টাকা পাচ্ছে না, কাজ পাচ্ছে না।’
মীনাক্ষী বলেন, মমতা নিজেকে মুসলিম দরদী দেখাচ্ছে কিন্তু ওর সরকার ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে দুর্নীতি করেছে বলে আজ সংখ্যালঘুরা সমস্যায়।
এদিনের সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ, প্রতীক উর রহমান।
শতরূপ বলেন, ‘এখানকার মানুষ শ্রীপুর হাই মাদ্রাসা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে রহিম বক্সীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল যাতে ওরা মাদ্রাসা দখল করতে না পারে। আগামী দিনেও তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে এই লড়াই জারি রাখতে হবে।’
প্রতীক উর রহমান বলেন, ‘দাঙ্গাবাজ বিজেপি এবং চোর তৃণমূল গোটা বাংলাকে শেষ করে দিয়েছে। তাই বাংলাকে বাঁচাতে লাল ঝান্ডা আজ পথে। গোটা বাংলাকে ঠেলতে ঠেলতে তৃণমূল খাদের কিনারায় এসে দাঁড় করিয়েছে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। নতুন করে লাল ঝান্ডার নেতৃত্বে সেই লড়াই হবে। সরকার কম দামে কৃষক কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে। আর কৃষক দাম পাচ্ছে না।’ 
তিনি বলেন, ‘এই জেলায় বহু মানুষ ঘর বাড়ি হারিয়েছে ভাঙনে। সরকার তাদের থাকার জন্য কোন কাজ করছে না। ক্ষতিপুরণ দিচ্ছে না। এই জেলা থেকে সব থেকে বেশি ছেলেরা পরিযায়ী শ্রমিক হয়। রাজস্থানে এই জেলার ছেলে আফরাজুলকে পিটিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।’

Comments :0

Login to leave a comment