কলেজ ভিত্তিক পর্যবেক্ষন কমিটি এবং গ্রিভান্স সেল। মনোনীত নয়, নির্বাচিত সদস্য হওয়া দরকার। মার্চ মাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা, যতদিন না পর্যন্ত নির্বাচন হচ্ছে ততদিন অন্তবর্তী দায়িত্ব। মেডিক্যাল কলেজ গুলোর পর্যবেক্ষন কমিটিতে জুনিয়ার চিকিৎসকদের প্রতিনিধি থাকতে হবে।
তাদের এই দাবি প্রসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিব মনোজ পান্থ বলেন, ‘‘ছাত্র প্রতিনিধি থাকতে পারে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরে। মার্চ ২০২৫ এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পদক্ষেপ আছে। সেই মেনে নির্বাচন হলে ছাত্র প্রতিনিধিরা বিভিন্ন কমিটিতে থাকতে পারেন।’’
আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে সরকার সহায়তা করুক সিবিআইকে একথা বলেন চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তারা সব নথি সিবিআইকে দিয়ে দিয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগে দ্রুত নিয়োগ দরকার। পর্যাপ্ত চিকিৎসক নার্স না থাকায় রোগীদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানা আন্দোলনকারিরা। মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘আইন মেনে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল তৈরি হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রশাসনিক পদক্ষেপ সব সময় করা যায় না। নিয়োগের বিষয় সরকারও চায় যাতে তা দ্রুত হয়। সংরক্ষন নিয়ে সমস্যা থাকায় নিয়োগ করা যাচ্ছে না। পুলিশ এবং স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নিয়োগ বন্ধ আছে।
আর জি করে যারা হামলা চালিয়েছিল ১৪ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয় কোন কথা বলেননি।
অনিকেত মাহাত বলেন, ‘‘আর জি করের ভিতরে এই ধরনের দুষ্কৃতি চক্র তৈরি হয়েছিল তা জানা ছিল না। কয়েকজন পড়ুয়ার সাথে এমন এমন ঘটনা ঘটেছে যা শুনে শিউরে উঠতে হয়। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করা হয়। কলেজে পড়তে যাওয়ার কোন পরিবেশ ছিল না। আমরা কমিটি চাইছি যাতে ছেলে মেয়েরা তাদের সমস্যার কথা কোন একটা জায়গায় গিয়ে জানাতে পারেন।’’
মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘সরকারেরও প্রচেষ্টা আছে যাতে প্রতিটা কলেজে গ্রিভান্স সেল থাকে। আজ চিকিৎসকরা যা বলেছেন তা নিয়ে আলোচনা আগেও হয়েছে। রাজ্য টাস্ক ফোর্স গঠন হয়েছে। অভিযোগ জানানোর জন্য কমিটি গঠন হয়েছে রাজ্যের। তার জন্য মেইল আইডি চালু করা হয়েছে। গত শনিবার যেই কথা হয়েছিল তাতে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন তাতে অনেক কিছু পরিষ্কার হয়। তারপর চিকিৎসকদের দাবিতে এই সভা।’’
কেন বিভিন্ন স্তরের কমিটি প্রয়োজন সেই নিয়ে দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিয়েছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য সচিবের অপসারনের দাবি তোলা হয় জুনিয়ার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই ভাবে করা যায় না।’’ পাল্টা চিকিৎসকরা বলেন, তারা তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে এসেছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাদের চা খাওয়ার কথা বললে প্রত্যাখ্যান করেন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গীরা ১৭ দিন অনশন করছে। ’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি তো তাদের বলছি না খেতে।’’
Comments :0