আলোচনার নামে বোকা বানানো হচ্ছে কৃষকদের। বোকা বানানো হচ্ছে দেশবাসীকে। ভারত বন্ধ-র সাফল্য সংহত করে জলন্ধরে ১৮ ফেব্রুয়ারি জনসভা করবেন কৃষকরা।
শুক্রবার বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শতাধিক কৃষক সংগঠনের মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা। মোর্চা জানিয়েছে, জলন্ধরের পরই বৈঠক হবে নয়াদিল্লিতে। পরবর্তী পদক্ষেপ বিশদে তৈরি করা হবে মোর্চার দিল্লি বৈঠকে।
শুক্রবারই ফের ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দেওয়া কৃষকদের অন্য সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডার দাবি, বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তবে কী আলোচনা হয়েছে জানায়নি কেন্দ্র।
এদিন দেশজুড়ে গ্রাম ভারত বন্ধ এবং শিল্প ক্ষেত্রে ধর্মঘটের ডাক দেয় সংযুক্ত কিসাব মোর্চা এবং কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ। কাশ্মীর, হিমাচল, উত্তর প্রদেশের নয়ডা থেকে তামিলনাডুতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ধর্মঘটের।
এর মধ্যেই অন্য কয়েকটি কৃষক সংগঠনের ডাকে পাঞ্জাব থেকে দিল্লির অভিমুখে রওনা দিয়েছেন কৃষকদের আরেকটি অংশ। হরিয়ানার আম্বালায় শম্ভু সীমান্তে তাঁদের আটকে দিয়ে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে রাজ্যের বিজেপি সরকারৃর পুলিশ। নিপীড়নের তীব্র নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। এদিনও ছোঁড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস। অসুস্থ হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মোর্চার ডাকে শুক্রবারও সভা হয়েছে পাতিয়ালা এবং জলন্ধরে। মোর্চা বলেছে, ‘‘প্রতি শ্রুতি অনুযায়ী ফসলের ন্যূনতম দামের আইন করেনি মোদী সরকার। তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ সর্বত্র। এখন পরিস্থিতিকে বিষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আন্দোলনের তেজ বাড়বে আগামী কয়েকদিনে। সমাজের সব অংশকে আহ্বান জানানো হয়েছে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার। শ্রমিকদের সঙ্গে ঐক্য রেখেই চলবে লড়াই।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের যুক্তি, ফসলের দামে কমিটি গড়লেও কৃষকরা তাতে যোগ দেয়নি। মোর্চা বলেছে, একেবারেই উলটো কাজ করেছে সরকার। যে কমিটি গড়া হয়েছিল আইনের জন্য, সেই কমিটিই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দামের আইনি নিশ্চয়তার বিরোধিতা করছিল।
কমিটির সদস্য বাছাই করা হয়েছিল এমন কায়দায় যাতে সংযুক্ত কিসান মোর্চাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে। তার ওপর আলোচনায় জুড়ে দেওয়া হয় প্রাকৃতিক চাষ, শস্য বৈচিত্রকরণের মতো বিষয়।
মোর্চা বলেছে শম্ভু সীমান্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাঠানো হচ্ছে মানুষকে বোকা বানাতে। কৃষকদের অন্ধকারে রেখে দেওয়া হচ্ছে।
এদিনই হরিয়ানার রেওয়ারিতে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকবিক্ষোভ প্রসঙ্গ এড়িয়ে রামমন্দির, ৩৭০ ধারা বাতিলের সাফল্য দাবি করতে থাকেন ভাষণে। ‘আগলি বার চারশো পার’ স্লোগান দিতে থাকেন মোদী।
মোর্চা বলেছে, বন্ধের এই সাফল্য আসলে মোদী সরকার এবং রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি সরকারের নিপীড়নের প্রতিফলন। নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রদায়িক এবং কর্পোরেট তোষণের নেতির বিরুদ্ধে তীব্র রোষের কারণে গ্রামীণ ভারত বন্ধে এত মানুষ অংশ নিয়েছেন।
SKM GRAMEEN BANDH
রোষ দেশজুড়ে, চলবে লড়াই, বলল সংযুক্ত কিসান মোর্চা
×
Comments :0