বর্ষার শুরুতেই ধরলা নদীর গ্রাসে মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু চা বাগান। বিঘার পর বিঘা জমি এই নদী ভাঙনের কবলে। এই এলাকার মৈনাক চা বাগানের বহু জমি নদী ভাঙনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। চিন্তার ভাঁজ বাগান কর্তৃপক্ষের কপালে।
ইতিমধ্যেই ধরলার ভাঙনে ৩২ একর চা বাগান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এবারও শুরু হয়েছে ব্যাপক আকারে নদী ভাঙন। এই বর্ষায় আরও ১০ একর চা বাগান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। অর্থাৎ প্রায় ৪২ একর চা বাগানের জমি চলে যাবে ধরলার গ্রাসে। এভাবেই প্রতিনিয়ত চা বাগানের জমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে এই ধরলা নদী গ্রাস করে ফেলছে প্রায় গোটা চা বাগানকেই। এই ভাঙন প্রতিরোধে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নদীর কবলে চলে যাবে গোটা বাগানটি।
এই নদী ভাঙ্গন নিয়ে আতঙ্ক গ্রাস করছে এই চা বাগান শ্রমিকদের। কারণ প্রতিনিয়ত চা বাগানের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে গোটা চা বাগানটি পড়বে অস্তিত্বের সংকটে। কাজ হারাতে হবে তাদের। আর কাজ হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে রীতিমতো পথে বসতে হবে বলে জানান তারা।
এই চা বাগান জেনারেল ম্যানেজার জ্ঞানপ্রকাশ দীক্ষিত জানান, এই ভাঙ্গন সমস্যা সমাধানের আর্জি নিয়ে ইতিমধ্যে ব্লক, মহকুমা প্রশাসনের পাশাপাশি বারংবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। শুধু তাই নয় উত্তর কন্যা তে গিয়েও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এব্যাপারে। আশ্বাস মিলেছে ঠিকই, কিন্তু এই ভাঙন প্রতিরোধে প্রশাসনিক ভাবে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে চা বাগানটি রক্ষা করতে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলে এদিন জানান তিনি।
River Erosion
ধরলা নদীর গ্রাসে কোচবিহারের চা বাগান
×
Comments :0