জমি কেলেঙ্কারি মামলায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের তদন্তের নির্দেশকে সম্মতি দিল হাইকোর্ট। সম্প্রতি কর্ণাটকের রাজ্যপাল সিদ্দারামাইবার বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে রাজ্যপাল যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তার মধ্যে কোন ভুল নেই। তদন্তকারি সংস্থা সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে।
আদালতের এই রায় সামনে আসার পরপরই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হচ্ছে সিদ্দারামাইয়াকে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বলেন, ‘‘আদালতের এই রায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কোন ধাক্কা নয়। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার আইনি ভাবেই লড়াই করবো। সত্যি সামনে আসবে।’’ সিদ্দারামাইয়া নিজেও জানিয়েছেন যে আইনের ওপর তার আস্থা আছে। সে যে নির্দোষ তা প্রমান হবে।
যেই জমি নিয়ে সমস্যা সেই বিষয় সিদ্দারমিয়া দাবি করেছিলেন যে তার স্ত্রী যেই জমির জন্য ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন সেটি তার ভাই মল্লিকার্জুন ১৯৯৮ সালে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু সমাজকর্মী কৃষ্ণা অভিযোগ করেন যে মল্লিকার্জুন ২০০৪ সালে এটি অবৈধভাবে কিনেছিলেন এবং সরকার ও রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের সহায়তায় জাল নথি ব্যবহার করে এটি নিবন্ধন করেছিলেন। জমিটি ১৯৯৮ সালে কেনা বলে দেখানো হয়েছিল। সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী ২০১৪ সালে এই জমির জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন যখন সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
Siddaramaiyah
সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখলো হাইকোর্ট
×
Comments :0