অভিযুক্ত সম্পর্কে নানা অভিযোগ তদন্ত কারী সংস্থা বা পুলিশ সংবাদমাধ্যমে জানাতে থাকে। তার ভিত্তিতে খবরও হয়। কিন্তু অভিযুক্তের বক্তব্য আড়ালে চলে যায়। আদালতের বাইরে চলত থাকে সমান্তরাল প্রক্রিয়া। অভিযুক্তের প্রভাব কম হলে এই প্রক্রিয়ার শিকার হতে হয় বেশি। অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ বা নিপীড়নে সরকারের প্রতিবাদ জানালে সমাজকর্মীদের এই সমস্যার মুখে পড়তে দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে জানানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে সংবেদনশীল হতে হবে। পুলিশ কীভাবে এই ব্যাপারগুলি সামলাবে, নির্দেশিকায় সেটিও স্পষ্ট করতে হবে। আদালতের নির্দেশ, সমস্ত রাজ্যের পুলিশ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের এই সংক্রান্ত প্রস্তাব ১ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানাতে হবে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে।
এদিন নিজেদের পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, ‘মিডিয়া ট্রায়াল’—এর ফলে আদালতের বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তদন্তের কোন স্তরে সংবাদ মাধ্যমকে তথ্য জানানো হবে, সেই সংক্রান্ত স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকা প্রয়োজন। এর সঙ্গে আক্রান্ত এবং অভিযুক্তের অধিকারের প্রশ্ন জড়িয়ে থাকে। একইসঙ্গে সাধারণ জনগণের বৃহত্তর স্বার্থও এই প্রশ্নে জড়িত।
একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, সংবাদ মাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। সেটি অক্ষুন্ন রেখেও মিডিয়া ট্রায়ালে রাশ টানা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের তথ্য জানান অধিকার রয়েছে। কিন্তু ভুল সময়ে সেই তথ্য ফাঁস হলে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়তে পারে।
Comments :0