Trecker Dead

ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত কসবার গৃহবধূ

কলকাতা

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকে উপেক্ষা করে হিমাচল প্রদেশে ট্রেকিং করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটলো দক্ষিণ কলকাতার এক গৃহবধূর। কসবার বেদিয়াডাঙার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর নাম দীপাঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় (৩৫)। পেশায় আয়কর দপ্তরের আধিকারিক প্রতি বছরই ট্রেকিং করতে যেতেন বলে জানা গেছে। কিন্তু এবারে শরীর কিছুটা খারাপ থাকলেও তিনি তা উপেক্ষা করাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে কসবার বেদিয়াডাঙা অঞ্চলে শোক নেমে আসে। দীপাঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিথর দেহ দ্রুত কলকাতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর স্বামী, সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার একটি  দলের সঙ্গে দীপাঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় হিমাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন। হিমাচল প্রদেশে পৌঁছিয়ে খানিকটা রাস্তা ট্রেকিংও করেন তিনি। শুক্রবার দেরাদুন থেকে হর-কি-দুন যাওয়ার পথেই তাঁর আচমকা শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। পাহাড়ের কোলেই পড়ে যান তিনি। ওই দলে চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসার সুযোগটুকু নাকি দেননি তিনি। পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু ঘটে। 
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,  কয়েক বছর ধরেই তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই তিনি পাহাড়ে যেতেন কিংবা ট্রেকিংয়ে অংশ নিতেন। পাহাড়ে ওঠা তাঁর কাছে প্রায় নেশায় পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো। তাই ইদানীং শরীর তেমন ভালো না থাকলেও তিনি তা উপেক্ষা করেই হিমাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন। কিন্তু সামান্য ট্রেকিংয়ের ধকল সম্ভবত দীপাঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরীর নিতে পারে নি। পাহাড়কে ভালোবাসতেন, পাহাড়ের কোলেই মৃত্যু হলো তাঁর। ট্রেকিং দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, দীপাঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও একাধিকবার ট্রেকিংয়ে গেছেন। এর আগে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। তখনও উচ্চ রক্তচাপের রোগ ছিল তাঁর। তাহলে এমন কী হলো যে প্রাণ দিতে হলো, তা নিয়ে পরিবারের মধ্যেই নানা আলোচনা হচ্ছে। ওই ট্রেকিং দলের চিকিৎসকের মতে,  আচমকা হার্ট অ্যাটাকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবুও পরিজনরা সহজে এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না। দেরাদুন থেকে তাঁর মরদেহ ফেরার অপেক্ষায় এখন গোটা পরিবার।
 

Comments :0

Login to leave a comment