কেন বারবার হবে হামলা। কেন এত অসুরক্ষিত থাকবেন নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা। শনিবার এই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নার্সরা।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ২৭ সেপ্টেম্বর রঞ্জনা সাউ নামে এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কর্তব্যরত নার্সদের উপর হামলা চালনো হয়। হাসপাতালে ভাঙচুর ও মারামারি ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পর থেকেই কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের।
রাজ্য নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভাস্বতী মুখার্জি হাসপাতালে এসে বলেন, "কালকের ঘটনায় পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? তাঁরা চুপ করে দেখেছে। আমাদের সুষ্ঠু নিরাপত্তা দিয়ে হবে। কেন একজন রোগীর সাথে ১৫-২০ জন ওয়ার্ডে ঢুকে যাবে।"
সাগর দত্ত হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। আজ বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
শনিবার কামারহাটি সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, বিশেষ স্বাস্থ্যসচিব শুভাঞ্জন দাশ, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অনিরুদ্ধ নিয়োগী ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বপন সোরেন আসেন। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী, ব্যারাকপুরে পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। জুনিয়ার চিকিৎসকরা সাথে তাঁরা কথা বলেন। কিন্তু জুনিয়ার চিকিৎসকরা তাঁদের প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট নন। তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
Comments :0