আর জি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সমগ্র রাজ্য। বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন জনতা। প্রতিবাদের ঝড় উঠছে রাজ্য সহ গোট দেশ ও বিদেশেও। সেই সময় ডুয়ার্সের চা বাগান ঘেরা বানারহাটে আরও এক পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। দেরিতে হলেও রবিবার ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। ক্ষোভে চা বাগানের বাসিন্দারা সবাই দলবদ্ধ হয়ে নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যায়। দলবদ্ধ ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গেছে ২৭ বছর বয়সী এক কথা বলতে পারা মহিলা তিনি কানেও শুনতে পাননা। অভিযোগ বেশ কয়েক মাস আগে বাগানের দু ব্যাক্তি তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। যেহেতু তিনি স্বাভাবিক সুস্থ নন তাই তিনি এই ঘটনা কাউকে জানাতে পারেননি। নির্যাতিতা এই তরুণীর বৌদি চা বাগানের স্থায়ী শ্রমিক। দাদা বিন্নাগুড়ি এলাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। আরেক ভাই বানারহাট বাজারে দিন মুজুরের কাজ করেন। মা বাবা কেউ নেই। এই পরিস্থিতির সুযোগে তার উপর নির্যাতন করা হয়। কয়েকদিন ধরে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় বৌদি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানায় সে অন্তসত্তা। এরপর দাদা বৌদি তাঁকে জিজ্ঞাসা বাদ করে জানতে পারেন একাধিক ব্যাক্তি তাঁকে নির্যাতন করেছে। এই ঘটনা ছড়িয়ে পরতেই শ্রমিক মহল্লায় ক্ষোভ ছড়ায়। নির্যাতিতা আকার ঈঙ্গিত দিয়ে বাগানের দুজনের বাড়ি দেখিয়ে দেয়। বাগানের বাসিন্দারা সেই দুই বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলে তাদের পাওয়া যায়নি। সমস্ত বাসিন্দারা নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এ বিষয় নিয়ে জানতে বানারহাট থানার আইসিকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন নি। ধূপগুড়ি মহকুমার এসডিপি ও গেইলসন লেপচাকে ফোন করলে তিনি বলেন,‘‘লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে দ্রুত আসামি ধরা হবে। আইন মেনে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে। আসামি ধরতে পুলিশ গাফিলতি করবে না।
চা শ্রমিক নেতা অজয় মাহালি বলেন,‘‘আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করছি পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের ধরতে উদ্যোগ নেবে না হলে আমরা সমস্ত চা শ্রমিক পথে নামতে বাধ্য হব।’’
Dhupguri Rape
বানারহাটে মূক-বধির যুবতীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা নির্যাতিতা
×
Comments :0