ওডিশায় ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৪৫টি হাতির। বুধবার ওডিশার বন ও পর্যটন মন্ত্রী পি কে আমত এই তথ্য দিয়েছে ওডিশা বিধানসভায়। ২৪৫টি হাতির মধ্যে ছয়টি হাতির মৃত্যু হয়েছে চোরা শিকারিদের হাতে। যদিও বাকি হাতিদের মৃত্যু কি ভাবে হয়েছে তা নিয়ে কিছু বলেননি আমত। মন্ত্রী জানিয়েছেন চোরা চালানের সঙ্গে যুক্ত ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৩৯টি হাতির দাঁত, ১টি বাঘের ছাল ও ৯টি বাঘের নখ উদ্ধার হয়েছে। গত তিন বছরে ওডিশায় কোনও বাঘের মৃত্যু হয়নি।
আমত বলেন চোরা শিকারি রুখতে ও বন্য প্রানীদের বাঁচাতে ওডিশা বন দপ্তরের তরফে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একটি দল গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর জঙ্গলে বিশেষ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বালাসোরের কুলডিহা অভয়ারন্যতে ছয়টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার একটি বৃদ্ধ হাতির মৃত্যু হয়েছে। তবে ওডিশা সহ সারা ভারতে বন্য প্রানী নিয় কাজ করে এরকম একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি গত পাঁচ বছরে ওডিসাতে ৪০০’র বেশী হাতির মৃত্যু হয়েছে।
ভুবনৃশ্বরেরে এক তথ্য অধিকার আন্দোলন কর্মী সন্ধারানী মোহান্তি জানান ২০১৭’তে শেষ হাতি গণনা হয়েছে। সেই গণনা অনুযায়ী ওডিশাতে ছিল ১,৯৭৬টি হাতি। মৃত হাতিদের মধ্যে ৬১ টি হাতি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছে। এবং এই সব ক্ষেত্রে চোরা শিকারীরা যুক্ত। ৩৫টি হাতিকে খুন করে চোরা শিকারিরা। ১৫৯ টি হাতির মৃত্যু হয়েছে অসুস্থতায়। তারমধ্যে ২৪ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে অ্যানথ্রাক্সে। তবে মাত্রাতিরিক্তভাবে হাতি মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
Comments :0