রাজ্য সরকারের স্বীকৃত উদ্বাস্তু কলোনি। আবার রাজ্যেরই পুলিশের সহায়তায় সেই ঈশ্বরপল্লি কলোনি ভেঙেছে রেল। নদীয়ার ধুবুলিয়ায় সেই কলোনির বিপন্ন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ইউসিআরসি রাজ্যনেতা সুজন চক্রবর্তী।
সোমবার তাঁর সঙ্গে ছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সুমিত দে, ইউসিআরসি'র বর্ষীয়ান নেতৃবৃন্দ ও প্রাক্তন বিধায়ক শান্তি দাস, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা গৌতম বিশ্বাস, সুমিত বিশ্বাস, নূর মহম্মদ ও বিশ্বজিত বিশ্বাসও।
স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পরেও ওপার বাংলা থেকে দেশ ভাগের একরাশ জ্বালা যন্ত্রণা নিয়ে এপার বাংলায় এসে পুনর্বাসন না পেয়ে এখনও বসবাস করছেন ঠিক ধুবুলিয়া স্টেশন লাগোয়া ঈশ্বরপল্লি কলোনিতে। ২০২০ সালে রাজ্য সরকার যে একশো উনিশটি কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম নদীয়ার ধুবুলিয়া স্টেশন লাগোয়া ঈশ্বরপল্লি কলোনি। সেই ঈশ্বরপল্লি কলোনিকে গত ১১ জানুয়ারি চুপিসারে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে যায় রেল ও রাজ্য পুলিশ। ঈশ্বরপল্লি কলোনিতে উচ্ছেদ সম্পূর্ণ বেআইনি। রেল তার এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান চালায়। রাজ্য প্রশাসন সবকিছু দেখে বুঝেও ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ধুএকবারের জন্যও আসেননি। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও সহায়তা করেননি। মানুষ প্রশ্ন তুলে জানিয়েছেন, ‘আমরা এখন কোথায় যাব, কীভাবে বেঁচে থাকব তা দেখার দায়িত্ব কি কোনও সরকারের নেই ?’
এদিনই দেবগ্রাম আবাস যোজনায় চরম দুর্নীতি স্বজনপোষণ, শিক্ষক সহ সমস্ত নিয়োগে আকাশছোঁয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোমবার কালিগঞ্জ বিডিও অফিসের সামনে এক বিরাট সমাবেশ হয়। হয় মিছিল। চক্রবর্তী বলেন, আবাস যোজনা প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে এবং রাজ্যে বর্তমানে চলছে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা। আবাস যোজনায় বা শিক্ষক নিয়োগ, সব দুর্নীতির টাকার অংশ যাচ্ছে কালীঘাটে।
এদিন নবদ্বীপ শহরেও হয় মিছিল। অ্যালানে শিবতলা থেকে তেঘড়িপাড়া মোড়পর্যন্ত মিছিল দেখতে প্রচুর স্থানীয় মানুষ রাস্তার দু’ধারে শামিল হন। তৃণমূল পরিচালিত নবদ্বীপ পৌরসভা কেন মানুষের বাড়ির জলের লাইন কেটে দিচ্ছে? কেন বলা হচ্ছে ৩০০০ টাকা না দিলে জলের লাইন দেওয়া হবে না? গরিব মানুষের পরিষেবা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে কেন?
Comments :0