পড়ে যাওয়া সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের ব্রিটেন শাখা নামমাত্র অর্থে হাতবদল হলো। এইএসবিসি এই শাখা কিনছে মাত্র ১ পাউন্ডে।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কে শেয়ারে ধস নেমেছে। আমনতকারীদের টাকা ফেরাতে পারছে না এই ব্যাঙ্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘এসভিবি’-র শাখা রয়েছে ব্রিটেনে, রয়েছে ভারতেও।
ব্রিটেনে এই হাতবদল ‘বেসরকারি’ বলা হলেও, অনুমান, পিছনে ঋষি সুনক সরকারের উৎসাহ রয়েছে। ব্রিটেনে আমানতকারীদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা ছড়ানোয় নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে সামনে চাইছিল সরকার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সংস্থার কেন্দ্রে, ব্যাঙ্ক পড়ে যাওয়ায় আর্থিক বাজারে দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছে। ২০০৮’র আর্থিক মন্দার গোড়ার পর্বে লেম্যান ব্রাদার্সের মতো ব্যাঙ্কের শেয়ারে ধস নামার তুলনাও চলে এসেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন জানিয়েছেন যে আমানতকারীদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে করদাতাদের টাকায় সরকার লোকসান পুষিয়ে দেওয়ার রাস্তা নেবে না। যারা এই আর্থিক অব্যবস্থার জন্য দায়ী, ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।
ব্রিটেনে এইচএসবিসি’র হাতে মালিকানা গিয়েছে বস্তুত বিনা অর্থে। এসভিবি’র ব্রিটেন শাখায় ঋণ বাবদ ব্যাঙ্কের প্রাপ্য ৫.৫ বিলিয়ন পাউন্ড। আর আমানতের অঙ্ক ৬.৫ বিলিয়ন পাউন্ড। এসভিবি’র নামেই আতঙ্ক ছড়ানোয় হাতবদলের ব্যবস্থা বলে মত আর্থিক বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
ঋইচএসবিসি গোষ্ঠী প্রধান নোয়েল কুইন বলেছেন, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কিং এবং উদ্ভাবনশীল সংস্থায় বিনিয়োগে ব্রিটেনে ব্যবসা বাড়বে এই সিদ্ধান্তে। এমন সংস্থাগুলিকে ঋণ দেওয়া যাবে।
এসভিবি’র বিশেষ পরিচিত ছিল তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা ক্ষেত্রে নতুন সংস্থাকে ঋণ দেওয়ায়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন আর্থিক সম্পদে বিনিয়োগ করেছে ব্যাঙ্ক। সেই সম্পদের মূল্য এখন কমে গিয়েছে বাজারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার চড়া হওয়ায় এই পরিস্থিতি। অবস্থা এমন হয় যে আমানতকারীদের নগদে টাকা ফেরানোর ক্ষমতা ছিল না ব্যাঙ্কের।
Comments :0