হিমঘরে আলু রাখার জায়গা নেই। আলুর বন্ড বিলি নিয়ে প্রশাসনিক অরাজকতা চরমে। প্রতিবাদে নেমে পুলিশের লাঠির মুখে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। শনিবার ক্ষোভে বাংলাদেশ সীমান্তে যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ করলেন জলপাইগুড়ির কৃষকরা।
বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গা কোল্ড স্টোরেজে অশান্তি হয় শুক্রবার। শনিবার এই হিমঘরের সামনে জলপাইগুড়ি চাউলহাটি হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করেন আলুচাষীরা।
শনিবার এলাকায় গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃবৃন্দ। ময়নাগুড়ির বকুলতলা মোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শামিল হয় সারা ভারত কৃষক সভা। কৃষক নেতা নির্মল চৌধুরী, অনিল বর্মন, বিজয়বন্ধু মজুমদার, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি হরিহর রায় বসুনিয়া, কৃষক সভার জেলা সম্পাদক আশিস সরকার প্রমুখ।
কুইন্টাল প্রতি ১ হাজার টাকা দরে আলু কৃষকদের কাছ থেকে রাজ্য সরকারকে কেনার দাবিতে হয় অবস্থান। এদিন রাজ্যের অন্যত্রও এই দাবিতে রাস্তা অবরোধ হয়েছে সারা ভারত কৃষকসভার ডাকে। আশিস সরকার বলেন, দু’মাস ধরে জেলা প্রশাসনকে বলা হচ্ছে যাতে আলুর বন্ড দেওয়ার সময় কালোবাজারি না হয়। জেলার সব আলু চাষীরা যাতে হিমঘরে আলু রাখতে পারেন। অথচ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দু’টি হিমঘর এবং কোচবিহারে আলুর বন্ডের কুপন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আলুচাষীদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয় ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে জেলা প্রশাসনের অপদার্থতাকে দায়ী করেন তিনি।
পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো জানান, পরিস্থিতি অনুযায়ী লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হন তারা। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে এলাকায়
Comments :0