কিউবা বিপ্লবের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে বাংলার ছাত্র-যুবরা। অ্যালাইদা গুয়েভারা এবং এস্তোফানিয়া মাচিন গুয়েভারাকে সম্বর্ধনা সেই উদ্দেশ্যেই। সাম্রাজ্যবাদের কড়া অবরোধের মুখেও সমাজতন্ত্রের পতাকা বয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহসকে মর্যাদা জানাবে বাংলা।
চিকিৎসক অ্যালাইদা এবং তাঁর কন্যা অর্থনীতিবিদ এস্তেফানিয়ার সম্বর্ধনা কর্মসূচিকে এভাবেই ব্যাখ্যা করছেন রাজ্যের এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ। ২০ জানুয়ারি সকালেই নেতাজী সুভাষ বিমানবন্দরে পৌঁছাচ্ছেন অ্যালাইদা। সকালে বিমানবন্দরেই হবে সম্বর্ধনা। এই দু’দিন বিভিন্ন জায়গায় তাঁর মুখ থেকে কিউবার লড়াইয়ের কথা শুনবেন বাংলার মুক্তিকামী মানুষ।
২০ এবং ২১ জানুয়ারি সব কর্মসূচিকেই সফল করার যৌথ আবেদন জানিয়েছেন শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। আবেদনপত্রে সই করেছেন পবিত্র সরকার, শমীক বন্দোপাধ্যায়, শোভনলাল দত্তগুপ্ত, অসিত বসু, পূরবী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
ডিওয়াইএফআই সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা বলেছেন, আমরা কিউবার প্রতি সংহতির পক্ষে। মুক্তিকামী মানুষের লড়াইয়ের পক্ষে। বাংলার মাটিতে সেই লড়াইয়েই সংহতি জানানো হবে। কোভিডের সময় এ রাজ্যের ছাত্রযুবরা বিপন্ন মানুষের কাছে পৌঁছেছে। বিশ্বের মানুষের পাশে থাকে কিউবা, সেই অভিজ্ঞতা শুনব আমরা।
এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং এআইপিএসও সম্বর্ধনা জানাবে কলেজ স্ট্রিটে। ২১ জানুয়ারি বেলা দু’টোয় রয়েছে সেই কর্মসূচি। এসএফআই’র কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলছেন, অ্যালাইদা গুয়েভেরা কেবল চে-তনয়া নন। তিনি নিজে চিকিৎসক হিসেবে কিউবার একের পর এক জনস্বাস্থ্য মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর্তের চিকিৎসায় পৌঁছেছেন নিকারাগুয়া, অ্যাঙ্গোলা, ইকুয়েডরের মতো নানা দেশে। বিভিন্ন দেশে সমাজতান্ত্রিক কিউবা এভাবেই বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত। শিশু চিকিৎসক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন অ্যালাইদা। সমাজতন্ত্রের উৎসবকে পালন করতেই কলেজ স্ট্রিটে সম্বর্ধনা।
শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মীদের আবেদনপত্রে বলা হয়েছে যে কিউবার মানুষের অদম্য লড়াইয়ের কথা শুনব আমরা। কথা হবে ভারত-কিউবা মৈত্রী নিয়েও।
অ্যালেইদা এবং এস্তেফানিয়াকে সম্বর্ধনা জানানো হবে বরানগর ও উত্তরপাড়াতেও। সম্বর্ধনা দেওয়া হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
Comments :0