বইকথা
নদীর ঘাটে বন্ধু
প্রদোষকুমার বাগচী
এবার তোমাদের জন্য আমি আরও একটা বইয়ের খবর দিচ্ছি। বইটির নাম ‘নদীর ঘাটে বন্ধু’। তোমাদের জন্য বইটি লিখেছেন ছন্দা চট্টোপাধ্যায়। ২৩টি গল্প আছে বইটিতে। একটি গল্পের নাম পাকা জায়গা। কেন পাকা জায়গা? সেটা
বলছি শোন। গল্পটা একটা কুকুরকে নিয়ে। মিমি আর ঝিনি দুই বন্ধু দুটো বাচ্চা কুকুর বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। বাচ্চা দুটোর মা অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়। ঝিনির বাড়িতে কুকুরটাকে তো রেখে দিয়েছে। মিমির বাড়িতে কুকুরটাকে রাখতে
গিয়ে ওর মা মানা করেছিল। পরে রাখতে দিয়েছিল। ঐ কুকুর নিয়ে মিমির দিন কেটে যায়। ঐ কুকুর নিয়ে মিমি আর ঝিনি যত বড় হচ্ছে তত ঝগড়া বাড়ছে। প্রথমে মিষ্টি কথা দিয়ে শুরু হয়। পরে ঝগড়া। পরে মুখ ভ্যাঙানি, পা দেখানি।
এই সব মিমির মা একেবারে পছন্দ করে না। কুকুরটাকে তাড়াতে চায়। কিন্তু মিমির জন্য পারে না।
একবার মিমিরা মালদা যাবে। মিমির মা অনেকদিন তাঁর মাকে দেখেনি। কিন্তু মিমি কুকুর নিয়ে যেতে চাইলে হবে না। শেষে ওর বাবা বুঝিয়ে বলল তোমরা যাও আমি কুকুরটাকে দেখবো। অবশেষে তাই হলো। মিমি তো কুকুরের জন্য
কষ্ট পাচ্ছিল কিন্তু দাদু দিদিমার আদরও পাচ্ছিল। কুকুরটাই বরং মিমিকে দেখতে না পেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছিল। ও খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। পরে ওরা যখন মালদা থেকে ফিরে এল তখন মিমি জানতে পারল যে কুকুরটা নাকি বাড়ি ছেড়ে
পালিয়ে গেছে। মিমির মন খারাপ হয়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতে বাবা মাকে আড়ি দেখিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। ওদিকে ঝিনি রোজ ওর কুকুরটাকে ওর বাড়ির সামনে এনে মিমির দেখা পেতে চেষ্টা করতো। মিমি আর আসে না। এতে
ঝিনিরও মন খারাপ। এবার স্কুল শুরু হলে ওরা স্কুলে যাতায়াত শুরু করে দিল। কিন্তু মিমি কি আর তার কুকুর ফিরে পেল? ওর কি মিমির বাড়তেই পাকা জায়গা হয়ে গেল নাকি সে আর ফিরেই এলো না? সেকথা জানতে হলে এবার
পড়তে হবে গল্পটা। এছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি গল্পের নাম বলছি— মানুষের মতো মানুষ, হাতিঘর, তিতুর বাগান, পাখিদের ভাষা, ঝুমঝুমি, কি হতে চাই ইত্যাদি। যেটা মনে হবে সেটাই আগে পড়তে পারো। ভিতরে রয়েছে মন
ভোলানো ছবি।
নদীর ঘাটে বন্ধু। ছন্দা চট্টোপাধ্যায়। পুনশ্চ। কলকাতা। ২০০ টাকা।
Comments :0