অরুণাচল প্রদেশের আঞ্জা জেলায় শ্রমিক বহনকারী একটি ট্রাক পাহাড়ি রাস্তা থেকে প্রায় হাজার ফুট গভীরে খাদে পড়ে প্রায় ২২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই শ্রমিকদের মধ্যে উনিশজন আসামের তিনসুকিয়া জেলার গিলাপুকুরি চা বাগানের বাসিন্দা। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকিদের খোঁজ চলছে।
সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, শ্রমিকরা রাস্তা নির্মাণের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইলং-চাকলাগাম সড়কের মেটেলিয়াংয়ের কাছে একটি পাহাড়ে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় ট্রাকে ২২ জন শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে। পথচারীরা ট্রাকটি খাদে পড়ে যেতে দেখে স্থানীয় থানায় খবর দেয়। পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে।
এখনও প্রর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও নয়জনের সন্ধান এখনও চলছে। এখন পর্যন্ত আসামের ১৯ জন মৃত শ্রমিকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বুধেশ্বর দীপ, রাহুল কুমার, সমীর দীপ, জন কুমার, পঙ্কজ মানকি, অজয় মানকি, বিজয় কুমার, অভয় ভূমিজ, রোহিত মানকি, বীরেন্দ্র কুমার, আগর তাতি, ধীরেন চেটিয়া, রজনী নাগ, দীপ গৌলা, রামচবাক সোনার, সোনাতন নাগ, সঞ্জয় কুমার, করণ কুমার এবং জো মুন্না। খবর অনুযায়ী, ১৯ জন শ্রমিকই আসামের তিনসুকিয়ার গেলপুখুরি চা বাগানের বাসিন্দা। সকলে সীমান্ত অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজের সাথে যুক্ত শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
খবরে জানা গেছে ট্রাকটি যে এলাকায় খাদে পড়েছে, সেটি শহর থেকে অনেক দূরে একটি প্রত্যন্ত এলাকা। অরুণাচল প্রদেশের অঞ্জাও জেলা, ইন্দো-চীন সীমান্তের কাছাকাছি হায়ুলিয়াং–চাগলাগাম সড়কে। দুর্ঘটনার খবর পুলিশকেও দেরিতে জানানো হয়, যার ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে এবং উদ্ধারকাজ শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। আশঙ্কা ২২ শ্রমিকের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। ট্রাকটি পাহাড় থেকে ছিটকে পড়ে ১০০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়, ঘটনায় একজন ছাড়া বাকি সকল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে দাবি করেছেন। অঞ্জাও জেলার ডেপুটি কমিশনার মিল্লো কোজিন নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকারী এনডিআরএফ দলটির কাছে এতোগুলি শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। সেই সঙ্গে আবহাওয়া, অস্থিতিশীল মাটি এবং উচ্চতা উদ্ধার কাজকে জটিল করেছে। নিখোঁজদের খোঁজ আসাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
Comments :0