সন্দেশ রহস্যে গাবলুর বিজ্ঞান ডায়েরি
প্রদোষকুমার বাগচী
এবার তোমাদের জন্য এমন একটি বইয়ের কথা বলবো যাতে রহস্য আছে। আর রহস্যের বই কার না ভালো লাগে। তবে এ যেমন তেমন রহস্য নয় একেবারে ‘সন্দেশ রহস্য’। সেটি কেমন? তাহলে গাবলুর কথা বলতে হয়। গাবলুর তখন আট বছর। সেদিন মা, বাবা, গাবলু আর তার বোন মিতুন একসাথে খেতে বসেছে। গাবলুর লুচি-আলুর দম খাওয়া শেষ। সবে সন্দেশে কামড় বসিয়েছে। ওর বাবা বললেন, গাবলু খাবারগুলো কিভাবে পেটে গিয়ে হজম হয় জানতে ইচ্ছা করে না? এই বলে ওর বাবা মজার ছবি আঁকা একটা বই তাক থেকে নামিয়ে বোঝালেন, মিতুন যদি একটি মেশিন হতো তাহলে মিতুন সামনের দাঁত দিয়ে সন্দেশটাকে কাটত তারপর পিছনের দাঁতে পেষাই হতো। জিব দিয়ে লালা বেরিয়ে সন্দেশটাকে একটা মন্ডে পরিণত করতো। তারপর সেটা গলায় ঢুকে যেতো। তারপর নানা যন্ত্রের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় শরীর কিছু খাবার শুষে নিত। খাবার থেকে কিছুটা জলও শুষে নিত। খাদ্য তখন তরলের মত হয়ে গেছে। এরপর সেটি যায় যকৃতে সেখানে কিছু খাদ্য জমা থাকে আর কিছুটা যায় রক্তে। রক্ত সেই খাবার নিয়ে ঘুরে বেড়ায় সারা শরীরের সমস্ত কোষে। তাই বলে সব খাবার শরীর নিতে পারে না। কিছুটা নেয় আর কিছুটা নেয়না। সেগুলো নোংরা। বাড়ির নোংরা যেমন পরিস্কার করতে হয় তেমনি দেহেরও নোংরা পরিস্কার করতে হয়। কিভাবে সেগুলি হয় জানতে পারলে তোমাদের আশ্চর্য লাগবে।
আমরা কিভাবে দেখি, চোখের কি ক্যামেরা আছে? থাকলে কিভাবে ছবি তোলে? এসব কথা এখানে আছে। তাই বলে ছোট্ট একটু কানের ভেতরেও এত কিছু ব্যবস্থা, শোনার জন্য কেন দুটি কান লাগে, এসব জানলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে। আচ্ছা তোমাদের কি মনে হয়েছে যে তোমাদের গলার মধ্যে তানপুরার মতো তার আছে? মুখের ভিতরে কারখানা আছে? টক-ঝাল-মিষ্টি তোমরা কি করে বোঝ?
অর্থাৎ আমাদের শরীরটাই পায়ের নখ থেকে মাথার চুল, সবটাই মস্ত কারখানার অংশ, আর সেখানে নানান ধরণের কাজ। আর তার সঙ্গে মজার মজার ছবি। কি, তাহলে বইটা এবার হাতে নিয়ে দেখবে নাকি! কোথায় পাবে সেই ঠিকানা বলে দিচ্ছি।
গাবলুর বিজ্ঞান ডায়েরি : সন্দেশ রহস্য। বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী। ছবি সুদীপ্ত বসু। শিশু সাহিত্য সংসদ, ৩২এ, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, কলকাতা-৭০০ ০০৯। ৭০ টাকা।
Comments :0