বেঙ্গালুরুতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন মুর্শিদাবাদের ৭ পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার রাতে ওই শ্রমিকদের থাকার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বেঙ্গালুরুর বিরডি কারমানি এলাকায় একটি ঘরে ছিলেন ওই ৭ পরিযায়ী শ্রমিক। সেখানেই হয় দুর্ঘটনা। এদের মধ্যে ৭ জন বহরমপুর থানার নগরাজল এলাকার বাসিন্দা, ১ জন হরিহরপাড়া থানার খিদিরপুরের বাসিন্দা। আহতদের চিকিৎসা চলছে বেঙ্গালুরুর সিটি মার্কেটের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আহত শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা জাব্বার মন্ডল। জানা গিয়েছে, সোমবার কাজ শেষে করে ঘরে ফিরে একই ঘরে ছিলেন ৭ জন। ওই ঘরেই রাতে থাকেন সকলে। কোনমতে গ্যাস সিলিণ্ডার লিক করে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আশেপাশের পরিযায়ী শ্রমিকরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে দককল আসে। রাত ২ টো নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক পরিযায়ী শ্রমিক তারিক আজিজ জানান, সকলেই কয়েক মাস হল বেঙ্গালুরুতে এসেছেন। সবাই মিলে একটি বহুতল নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। থাকেনও পাশাপাশি কয়েকয়টা ঘর নিয়ে। ওই একটা ঘরেই ৭ জন ছিলেন। আহত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন বহরমপুর থানার নগরাজোলের পাঁচ পীর তলার বাসিন্দা মিনারুল সেখ(৩৫), জাইবুর সেখ(৩৫), তাজিবুর সেখ(৩০), হাসান মল্লিক(৪২), নুর জামাল সেখ(২২), সফিজুল সেখ(৩৫)। আহত হয়েছেন হরিহরপাড়া থানার বাসিন্দা জাহিদ আলি খান। এদের মধ্যে জাইবুর সেখ এবং তাজিবুর সেখের অবস্থা আশাংকাজনক।
আহত পরিযায়ী শ্রমিক তাজিবুল শেখের বাবা গিয়াসুদ্দিন শেখ বলেন,‘‘ রাত ৩ টের দিকে দিকে একটা ফোন আসে। বলে যে সবাই পুড়ে গিয়েছে। ভোর ৪ টের দিকে ছেলের ফোন অন্য একজন ধরে। জানতে পারি সবাই হাসপাতালে। বারবার ফোন করার চেষ্টা করছি। ফোনেই কথা হচ্ছে।‘‘ তিনি জানিয়েছেন, অনেক দিন থেকেই মুম্বইয়ে কাজ করে ছেলে। এক থেকে দের বছর টানা কাজ করে। তারপর বাড়ি আসে। এবার গিয়েছিল বেঙ্গালুরু।
সিআইটিইউ অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রান্ট ওয়ার্কাস ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক কামাল হোসেন জানিয়েছেন,‘‘আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে নিতে হবে। আহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রাজ্যে কাজ নেই বলেই। যুবকরা অত কষ্ট করে অন্য রাজ্যে গিয়ে থাকছেন এটা রাজ্য সরকারের জানা উচিত। রাজ্যে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।’’
migrant workers
বেঙ্গালুরুতে অগ্নিদগ্ধ মুর্শিদাবাদের ৭ পরিযায়ী শ্রমিক

×
Comments :0