বিজয় দিবসে বার্তায় বাংলাদেশের জনতার স্বাধীনতা এবং মর্যাদার পক্ষে বাংলাদেশের জনতার অদম্য লড়াইকে অভিবাদন জানালো সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থা।
শান্তি, ন্যায় এবং বন্ধুত্বের পক্ষে সংগঠনের দায়বদ্ধতা মনে করালো এআইপিএসও। বার্তায় বলা হয়েছে, ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সংহতিতে এআইপিএসও’র ভূমিকা গর্ব করার মতো।
এআইপিএসও বলেছে, বাংলাদেশের জনগণের ব্যাপক আত্মত্যাগ স্মরণীয়। ১৯৭১-এ তাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই নতুন দেশের জন্ম হয়েছিল। সেই সঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকাকেও সম্মান জানানো হচ্ছে। তাঁদের অবদান এবং বাংলাদেশের জনতার প্রতি তাঁদের সংহতি এই ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনে বিশেষ গুরুত্ব রেখেছে।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যাঘুদের ওপর নিপীড়নে উদ্বেগও জানিয়েছে এআইপিএসও। বলা হয়েছে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ কেবল ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদ এবং ন্যায়ের ধারণারই ক্ষতি করছে না। বরং, সীমান্তের এপারে, ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতও সবল করছে।
বলা হয়েছে, এমন ঘটনায় বিভাজনের ভাষ্য বাড়ে। বিপন্ন করে সেই সম্প্রীতিকে যা দু’দেশের জনতার অভিন্ন ঐতিহ্যের ভিত্তি।
বার্তায় শান্তি ও সংহতি সংস্থা বাংলাদেশের সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অধিকার সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী ও নির্ণায়ক পদক্ষেপ নিক সরকার। এমন দু’দেশেই এমন পদক্ষেপ ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং ঐক্যের ধারণাকে মজবুত করতে পারে।
বিজয় দিবস নিয়ে আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
মোদী টুইটে লেখেন, ‘‘বিজয় দিবসে আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেই সাহসী সেনাদের আত্মত্যাগকে যা ১৯৭১ সালে ভারতকে বিজয় অর্জনে সক্ষম করেছিল।’’
মোদীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার এবং সংসদীয় উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘১৯৭১’র ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। ভারত কেবল মিত্রশক্তি ছিল, তার বেশি কিছু নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’
সোমবার ঢাকায় মিছিলে মিছিলে অসংখ্য মানুষ সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্ট মহম্মদ ইউনুস এবং রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন শ্রদ্ধা জানান।
BANGLADESH AIPSO MODI
বিজয় দিবসে বাংলাদেশকে বার্তা শান্তি-সংহতি সংস্থার, মোদীর টুইটে বিতর্ক
×
Comments :0