Parliament Winter Session

কত অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত হলো বলতে পারলেন না অমিত শাহ

জাতীয়

সরকারের উদ্দেশ্য অবৈধ ভোটারদের চিহ্নিত করে তাদের দেশের বাইরে পাঠানো। এসআইআর নিয়ে আলোচনা লোকসভায় বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু বিহারে এসআইআর পর্বে কতজন অবৈধ বা অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা গেছে তার কোন তথ্য তিনি সংসদে দিতে পারলেন না।
শাহ বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের অংশ নয়। তিনি বলেন, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিল কিন্তু কমিশন সরকারের অংশ নেয়। তাদের প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? শাহ দাবি করেন সরকার কোন বিষয় আলোচনা নিয়ে ভয় পায় না। উল্লেখ্য অতীতে দেখা গিয়েছে একাধিক বিষয় আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি, পরে চাপে পড়ে সেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করতে তারা বাধ্য হয়েছে। 
কংগ্রেসকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা যখন নির্বাচনে জয়ী হয় তখন সেখানকার নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা হয় না। কিন্তু এনডিএ জয়ী হলে প্রশ্ন তোলা হয়। শাহ বলেন, এসআইআরের উদ্দেশ্য মৃত এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। নতুনদের নাম তালিকায় যুক্ত করা। বলে রাখা ভালো সারা বছর ধরেই এই কাজ চালানো হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। কেন এই কাজের জন্য ভোটার তালিকার বিশেষ নিবীর সমীক্ষা করা হচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে বামপন্থী রাজনৈতিক দল গুলোর পক্ষ থেকে।
রাহুল গান্ধীর ভোট চুরির প্রসঙ্গ টেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার আগে জওহরলাল নেহেরুর চেয়ে সর্দার প্যাটেল বেশি ভোট পেয়েছিলেন, পরে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ইন্দিরা গান্ধী রায়বেরেলি থেকে নির্বাচনে জেতার সময় 'ভোট-চুরি' করেছিলেন এবং এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে নির্বাচন গুলি অন্যায্য ছিল। এরপর তিনি এমন একটি আইন করলেন যে প্রধানমন্ত্রী তদন্ত থেকে রেহাই পাবেন। শাহ বলেন, 'ভোট-চুরি'র তৃতীয় উদাহরণ হল যে ব্যক্তি যোগ্য নয় সে ভোট দিতে পারে। সম্প্রতি দায়ের করা একটি মামলা রয়েছে যে মিসেস সোনিয়া গান্ধী দেশের নাগরিক হওয়ার আগে ভোটার হয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন সরকারের উদ্দেশ্য অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা , ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া ও দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া। বিরোধীরা চায় এইসব লোকেদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকুক । তিনি বলেন, ৭৩ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুসারে নির্বাচন কমিশনার ঠিক হতো , এখন তাদের সরকার আইন করে প্রধানমন্ত্রী ,একজন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা কে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে যারা নির্বাচন কমিশনার কে হবে তা ঠিক করে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা তাকে অপমান করে বিরোধীরা গোটা বিশ্বের সামনে দেশকে ছোটো করছে।
উল্লেখ্য প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে এই কমিটি নতুন করে তৈরি করেছে সরকার।

Comments :0

Login to leave a comment