Bagrakote Tea Garden

অচলাবস্থা কাটতে চলেছে বাগড়াকোট চা বাগানের

রাজ্য জেলা

শ্রমিকদের দীর্ঘ লড়াই আন্দোলনের পর অবশেষে অচলাবস্থা কাটতে চলেছে বাগড়াকোট চা বাগানে। বাগানের শ্রমিকদের বকেয়া পাঁচটি পাক্ষিক মজুরি, দশ শতাংশ বোনাস, পিএফ'র টাকা জমা না পড়া, বাগানের স্টাফ ও সাব স্টাফদের তিন মাসের বকেয়া বেতন বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে চা বাগানের শ্রমিকরা আন্দোলনরত হয়েছিলেন।
চা বাগানে আন্দোলন এবং রিলে অনশন পরবর্তীতে সোমবার মালবাজার মহকুমা শাসকের দপ্তরে এসে ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচি করা হয়। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে মহকুমা শাসকের উদ্যোগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই বৈঠক থেকেই বেরিয়ে আসে সমাধান সূত্র।
এদিনের বৈঠকে চা বাগানের অচলাবস্থা কাটাতে লিখিত আকারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেখানে উপস্থিত সব পক্ষই সম্মতি জানিয়ে সই করেন। সমাধান সূত্রে উল্লেখিত হয়েছে আগামীকাল বাগানে শ্রমিকদের দুটি পাক্ষিক মজুরি প্রদান করা হবে বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের আরও একটি পাক্ষিক মজুরি প্রদান করা হবে। পূজার বোনাসের পাঁচ শতাংশ আগামী বড়দিনের প্রাক্কালে প্রদান করার কথাও জানানো হয়। মূলত এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে এদিনের বৈঠকের নিষ্পত্তি টানা হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাগান কর্তৃপক্ষ তথা সম্মেলন গোষ্ঠীর আওতাধীন বিভিন্ন বাগানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান টি প্লান্টেশন এসোসিয়েশনের ডুয়ার্স শাখার সচিব রাম অবতার শর্মা, মালবাজার মহকুমা শাসক উৎকর্ষ খান্ডাল, সহকারি শ্রম আধিকারিক শুভ্রজ্যোতি সরকার, সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের নেতা পবন প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘বাগড়াকোট চা বাগানের সমস্যা নিয়ে শ্রমিকদের লড়াই আন্দোলন জারি ছিল। এদিন সমস্ত পক্ষকে নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে।’’ 
ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে বিভিন্ন সময়ে বোনাস কিংবা মজুরি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে দীর্ঘ আন্দোলন ঘনীভূত হয়েছে বিগত দিনে। বারংবার চা শিল্পে এই ধরনের সমস্যা ঘনীভূত হওয়ায় চা শিল্পের পুরোনো সেই গরিমা বারংবার হোচোট খেতে শুরু করেছে বলেই মত চা মহলের। প্রসঙ্গত ইন্ডিয়ান টি প্লান্টেশন অ্যাসোসিয়েশন, ডুয়ার্স শাখার সচিব রাম অবতার শর্মা জানিয়েছেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মহকুমা শাসকের উদ্যোগে আলোচনার মাধ্যমে বাগড়াকোট চা বাগানের সমস্যা নিরসন করে পুনরায় স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার প্রক্রিয়াকরণ শুরু হলো।

Comments :0

Login to leave a comment