শুভ্রজ্যোতি মজুমদার
প্রবল বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার হুগলীর বিভিন্ন এলাকায় জল যন্ত্রণার বেহাল ছবি ফুটে উঠলো। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশংকা জমা জল থেকে মশাবাহিত রোগ ছড়াতে পারে।
বুধবার সকালে বৈদ্যবাটি পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কল্পনা বসু হাইস্কুলের সামনে এক গোড়ালি সমান জল জমে থাকতে দেখা যায়। সেই জল পেরিয়েই দোকান ও প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই জল জমার সমস্যা বহুদিনের। দিল্লি রোডের দিকে একটি নিকাশি সাঁকো থাকলেও বহু বছর সেই সাঁকোর সংস্কার হয় না। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায় এই ওয়ার্ডে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘরে ঘরে জ্বর। ডেঙ্গুর মশার লারভা জন্মাতে পারে। পৌরসভা সব জেনেও ব্যবস্থা নেয় না।
একই ছবি পাশের ২৩, ১৭, নম্বর ওয়ার্ডের নিচুর মাঠ এলাকায়। সেখানেও অতি বৃষ্টিতে জল জমেছে। একই ছবি বৈদ্যবাটি গভর্নমেন্ট কোয়ার্টারের মাঠের। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য বৈদ্যবাটি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্টের কাছের নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত জল জমছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি নালা সংলগ্ন জমি দখল করে প্লট করে বিক্রি হয়েছে। যার জন্য সমস্যা আরো বেড়েছে, বলছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। উত্তরপাড়ার ছবিটাও আলাদা নয় কাঁঠালবাগান বাজারে জল জমেছে নিয়ম করেই। পৌরসভাকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়না বলে অভিযোগ করেন বাজারের সবজি বিক্রেতারা। আগে সাত পোখোর হয়ে জল নিকাশী হত। এখন সেই নিকাশি নালা সংস্কার না হওয়ায় ভাসছে কাঁঠালবাগান বাজার এলাকা।
এদিন শ্রীরামপুর রেলওয়ে আন্ডারপাস, কুমির জলা রোড, ব্যান্ডেল ও হুগলি স্টেশনের রেলওয়ে আন্ডার পাসে জল জমেছে যার জন্য সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
Comments :0