BITTU ARREST BAJRANG DAL

গ্রেপ্তার হতেই দাঙ্গাবাজ বিট্টুর দায় ঝাড়ল বজরঙ দল

জাতীয়

নিজেকে বজরঙ দলের স্থানীয় নেতাই বলে গিয়েছে বিট্টু বজরঙ্গী। বুধবার পুলিশ গ্রেপ্তার করতেই উলটো সুর বজরঙ দলের গলায়। আরএসএস’র এই শাখা সংগঠন দাবি করল যে বিট্টু বজরঙ্গীর সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।

নুহে সাম্প্রদায়িক হিংসায় সরাসরি এই উগ্র হিন্দুত্ববাদীকে দেখা গিয়েছিল। অস্ত্র হাতে ছবিও বেরিয়ে পড়েছিল ৩১ জুলাইয়ের হিংসার পর। হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পুলিশের কাছে বহু অংশই দাবি তুলেছিল, উগ্র বাহিনীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার পনেরো দিন পর মঙ্গলবার বিট্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দেখা গিয়েছে যে পুলিশের তাড়ায় বিট্টু পালাচ্ছে সশস্ত্র দলবল নিয়ে। লাঠি তো বটেই কারও কারও হাতে রয়েছে রাইফেলও।

বুধবার নুহ সদর থানায় বিট্টু এবং তার সাকরেদদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিনই বজরঙ্গ দল বিবৃতি দিয়ে বলে, ‘‘রাজ কুমার ওরফে বিট্টু বজরঙ্গী, যাকে বজরঙ দলের কর্মী বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই। সে যে ভিডিও প্রকাশ করেছে তার বক্তব্যের সঙ্গেও বজরঙ দল একমত নয়।’’ সংশ্লিষ্ট ভিডিও অকথ্য ভাষায় প্ররোচনা ছড়িয়েছিল বিট্টু। এমন একাধিক ভিডিও এই বাহিনী ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন অংশের।

বিট্টু বজরঙ্গী গোরক্ষা বজরঙ ফোর্সের সভাপতি বলেই নিজের পরিচয় দিয়ে এসেছে। গোরক্ষার নামে একাধিক সংখ্যালঘু মুসলিম যুবককে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মনু মানেসরের সহচর বলেও বিভিন্ন অংশ বারবার বলেছে। মনু মানেসরকে এখনও ধরেনি পুলিশ। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টর দাবি করেছিলেন যে মনু মানেসর কোথায় রাজ্য প্রশাসন জানে না। অথচ হিংসার আগে বজরঙ দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যে মিছিল থেকে প্ররোচনা ছড়ানো হয়, তার কেন্দ্রে ক্ষছিল মনু মানেসরের একাধিক পোস্ট।

পুলিশ জানিয়েছে বিট্টুর বিরুদধে দাঙ্গা, অবৈধ জমায়েত, অন্যকে আঘাত করা, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের মতো একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

হরিয়ানার মুসলিম প্রধান জেলা নুহে সাম্প্রদায়িক হিংসায় নিহত হয়েছেন ৬ জন। অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকারের পুলিশ নুহতে গরিব মানুষের ঝুপড়ি ভেঙেছে বুলডোজার চালিয়ে। ভাঙা হয়েছে দোকান। 

Comments :0

Login to leave a comment