লেবার কোড চালুর বিজ্ঞপ্তি জারির তীব্র বিরোধিতা করল সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। সব ট্রেড ইউনিয়ন এবং গণতান্ত্রিক শক্তিকে একযোগে বিরোধিতায় নামার ডাক দিয়েছে পলিট ব্যুরো।
২৯টি শ্রম আইনকে বাতিল করে চারটি শ্রম কোডের আইন কেন্দ্র সংসদে পাশ করিয়েছিল আগেই। কিন্তু বিরোধিতার কারণে সেই কোড চালুর বিধি জানিয়েছে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছিল না। দেশের প্রায় সব ট্রেড ইউনিয়ন একযোগে এই শ্রম কোডের বিরোধিতায় শামিল। এ বছরই হয়েছে সারা দেশে ধর্মঘট। সেই সব বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে শ্রম কোড চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রে বিজেপি জোট সরকার।
পলিট ব্যুরো শনিবার বলেছে, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম প্রয়োজন কেন্দ্রের সরকারের এই কর্তৃত্ববাদী কার্যকলাপকে প্রতিহত করতে। বলা হয়েছে, শ্রমজীবী জনতার অধিকার রক্ষা করা জরুরি। বরং শ্রমজীবীর অধিকারকে রক্ষা করে এমন আরও কার্যকর সুরক্ষার জন্য লড়াই করা জরুরি।
কেন্দ্রের শ্রম কোডে কাজের সময়, ন্যূনতম মজুরি থেকে সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ বা ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার- আক্রমণ আনা হয়েছে প্রায় সব ক্ষেত্রে।
পলিট ব্যুরো বলেছে, শ্রম কোড আসলে কর্পোরেট শ্রেণিকে একতরফা ক্ষমতা দিয়ে জঙ্গলরাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। শ্রমিক শ্রেণির অধিকার এবং সঙ্গত প্রাপ্তিকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছে। কর্পোরেটের এই অভিযানে সরকার এবং প্রশাসনকে শামিল করার ব্যবস্থা করেছে শ্রম কোড।
পলিট ব্যুরো বলেছে, বহু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ২৯টি শ্রম আইনে ন্যূনতম মজুরি, কাজের সময়, সামাজিক সুরক্ষা, শিল্পক্ষেত্রে কাজের সুরক্ষা, প্রশাসনিক নজরদারি মেনে চলার বাধ্যবাধকতার এবং যৌথ দরকষাকষির সুযোগ ছিল। নতুন শ্রম কোড দীর্ঘদিনের এই অধিকারকে কেবল লঘুই করছে না, পুরোপুরি বাতিল করে দিচ্ছে আইনকে সরল করার নামে। যার ফলে শ্রমক্ষেত্রকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবে মালিকপক্ষ।
পলিট ব্যুরো বলেছে, শ্রম কোডের ফলে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বাড়বে বলে দাবি করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই দাবি একেবারে মিথ্যে। পুঁজির অত্যাচারের সামনে একেবারে অসুরক্ষিত অবস্থায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণিকে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ধর্মঘটের অধিকার। সংঘবদ্ধ প্রতিবাদকে ফৌজদারি অপরাধের আওতায় আনার ব্যবস্থা হয়েছে।
Labour Code Polit Bureau
শ্রমক্ষেত্রে জঙ্গলরাজ, শ্রমকোড চালুর বিরোধিতায় বলল পলিট ব্যুরো
×
Comments :0