Comrade Mridul Dey

শ্রদ্ধায় বিদায় কমরেড মৃদুল দে’কে

রাজ্য

Comrade Mridul Dey


সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর প্রাক্তন সদস্য কমরেড মৃদুল দে’কে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন পার্টি নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পার্টিকর্মীরা, গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং গণশক্তির কর্মীরা। 

 


সোমবার রাত সাড়ে এগারোটায় রাজারহাটের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ওই হাসপাতালেই তাঁর ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল। জানুয়ারি মাস থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬। 

মঙ্গলবার সকালে কমরেড মৃদুল দে’র মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মানিকতলা আবাসনে তাঁর বাসভবনে। তারপর তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয় সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তর মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা এবং বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, পার্টি রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্য মিশ্র, রামচন্দ্র ডোম এবং পার্টি নেতৃবৃন্দ। গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দও শ্রদ্ধা জানান। 

তারপর তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় গণশক্তির দপ্তরে। সেখানে গণশক্তির সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী, সহ সম্পাদক অতনু সাহা এবং গণশক্তির কর্মীরা। তারপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা শ্মশানে।


 

কমরেড মৃদুল দের প্রয়াণে গভীর শোক জানালো সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন কমরেড মৃদুল দে। 
মঙ্গলবার বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো বলেছে, অবিভক্ত বাংলার চট্টগ্রামে জন্ম মৃদুল দের। কলেজ জীবনে ছাত্র আন্দোলনের নেতা ছিলেন পরে যোগ দেন পার্টিতে। ১৯৬০ এবং ১৯৭০’র দশকে সাহসের সঙ্গে পুলিশি নিপীড়নের মোকাবিলা করেছেন। দু’বার জেলে গিয়েছেন তিনি। কিছু সময়ের জন্য দার্জিলিঙ জেলায় তাঁর থাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

 


 

পলিট ব্যুরো বলেছে, মৃদুল দে কিছু পরে কলকাতায় চলে আসেন এবং পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হন। পার্টি মুখপত্র গণশক্তিতে যোগ দেন তিনি। সান্ধ্য গণশক্তি থেকে প্রভাতী দৈনিকে রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। দক্ষ সাংবাদিক বিশদে কাজের ওপর জোর দিতেন। গণশক্তিতে দীর্ঘ সময় মুখ্য সাংবাদিকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
পলিট ব্যুরো বলেছে, ১৯৮৫’তে তিনি সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১’এ রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮’এ কোয়েম্বাটোর পার্টি কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, তিনি নিয়মিত পড়াশোনায় অভ্যস্ত ছিলেন। পার্টি শিক্ষার কাজে নিজেও বহু বই, পুস্তিকা লিখেছেন। 
কমরেড মৃদুল দে’র স্ত্রী এবং পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছে পলিট ব্যুরো। 

 


টুইটে শোকবার্তা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। তিনি বলেছেন, কয়েক দশক ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি আমরা।

Comments :0

Login to leave a comment