ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির জন্যই ‘ঘুসপেটিয়া’ প্রচার। এসআইআর তার জন্য। শিক্ষা, রোজগারের দাবি নিয়ে সেই রাজনীতিকেই চ্যালেঞ্জ করছেন বামপন্থীরা। চ্যালেঞ্জ করছে বিহারের বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’।
শনিবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ইশ্তেহার প্রকাশ করেছে সিপিআই(এম)। ইশ্তেহার প্রকাশ করে প্রবীণ সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাত ক্ষমতাসীন এনডিএ-র বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনে ঘৃণার প্রচার চালানো অভিযোগ করেন।
এদিন বৃন্দা কারাত বলেন, "এনডিএ জোট প্রতিনিয়ত নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে। বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলেছে। বিহারে ক্ষমতায় থাকা দুই দশকে তাদের সাফল্যের কিছুই দেখানোর নেই। তাই এই ভাবে প্রচার করছে তারা।"
নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বিহারে প্রচারে এসে বলছেন সব ঘুসপেটিয়া রয়েছে। মানে অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু এসআইআর প্রক্রিয়ার পর নির্বাচন কমিশন এক জনও অনুপ্রবেশ কারীকে চিহ্নিত করতে পারেনি। বিজেপির নেতারা মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জন সুরাজ পার্টির কর্মী দুলার চাঁদ যাদবের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এই ঘটনা প্রমাণ করে যে এনডিএ শাসন কালে বিহারে মাফিয়া রাজ এবং জঙ্গলরাজ চলছে।"
বৃন্দা কারাত বলেন, " সিপিআই(এম)'র ইশতেহারে বিহারে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কথা বলে হয়েছে। যা মহা গঠবন্ধনের ইশ্তেহারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বিহারের মানুষ জীবিকার সন্ধানে গুজরাটের মতো জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম দৈনিক মজুরি থেকেও সরকার তাদের বঞ্চিত করছে।
বিহারের মোকামায় জন সুরাজ পার্টির এক কর্মীর হত্যা ঘটনায় নির্বাচন কমিশন শনিবার পাটনা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ)-কে বদলির নির্দেশ দিয়েছে।
CPI(M) Bihar manifesto
রোজগারের রাজনীতিতে চ্যালেঞ্জ বিভাজনের কৌশলকে, বিহারে ইশ্তেহার সিপিআই(এম)’র
×
Comments :0