Che Guevara daughter visit India

চে’র কন্যা, নাতনির কলকাতা সফরকে ঘিরে বাড়ছে আগ্রহ

কলকাতা

বামপন্থী আন্দোলনের অনন্য সৈনিক, কিউবা বিপ্লবের অবিস্মরণীয় নেতা চে গুয়েভারার কন্যা ও নাতনির কলকাতা সফরকে ঘিরে বাড়ছে তুমুল আগ্রহ। ইতিমধ্যে ভারতে এসে পৌঁছেছেন চে গুয়েভারার কন্যা পেশায় চিকিৎসক ডাঃ অ্যালেইদা গুয়েভারা এবং তাঁর কন্যা অর্থনীতির অধ্যাপিকা এস্তোফেনিয়া মাচিন গুয়েভারা। আগামী ২০ জানুয়ারি তাঁরা পা রাখবেন কলকাতায়। সেদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি সভায় এবং একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তাঁরা। ওইদিন দুপুরে বরানগরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। এরপর আগামী ২১ জানুয়ারি সকালে চন্দননগর সফর করার পর ওইদিন বিকালে কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাঁরা। 
সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থা (এআইপিএসও)  এবং বিভিন্ন গণসংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, শিক্ষক ও চিকিৎসক সংগঠন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে সর্বতোভাবে প্রয়াস নিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পী, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী, চিকিৎসক, শিক্ষক সহ বিশিষ্টজনেরা এই অনুষ্ঠানগুলিতে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানগুলিতে যোগ দেবেন ছাত্র, যুব, মহিলারা। অংশ নেবে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ ও পশ্চিমবঙ্গ লেখক শিল্পী সঙ্ঘ। শুক্রবার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এই সফরসূচি তুলে ধরেন সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন বেরা। 


এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অশোকনাথ বসু, অধ্যাপক সিদ্ধার্থ দত্ত, বিনায়ক ভট্টাচার্য, প্রবীর দেব, শ্যামল সেনগুপ্ত, অভিজিৎ ঘোষ, সমর চক্রবর্তী, কাজি কামাল নাসের, বিমল চক্রবর্তী, দেবদূত ঘোষ, জয়রাজ ভট্টাচার্য প্রমুখ। অঞ্জন বেরা বলেন, এই অনুষ্ঠানগুলিতে সমাজতান্ত্রিক কিউবার জনস্বার্থবাহী বিকল্পনীতি এবং আজকের লাতিন আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণউদ্যোগের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোচনা করবেন ডাঃ অ্যালেইদা গুয়েভারা। কিউবাতে চিকিৎসাবিদ্যা ও অর্থনীতি কিভাবে প্রকৃতই জনকল্যাণমূলক হয়ে উঠেছে, তার নানা দৃষ্টান্ত মিলবে তাঁদের দু’জনের বক্তব্যে। এছাড়াও কিউবাতে বিভিন্ন সংগঠনগুলি কিভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনকল্যাণমূলক কাজ করছে সেসব কথাও আমরা আগত বিশিষ্টদের কাছ থেকে জানতে পারব।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে অশোকনাথ বসু বলেন, চে গুয়েভারা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন। কিউবার সমাজ এবং আমেরিকার সমাজের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত সমাজতান্ত্রিক কিউবাকে বিশ্বের জনমানসে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছে উজ্জ্বলভাবে। সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, একদিকে কিউবাতে জনস্বাস্থ্য প্রকল্প এক উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছেছে এবং অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে সাম্রাজ্যবাদীদের নয়া উদারীকরণ নীতির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামেও কিউবা এসেছে একেবারে সামনের সারিতে। কিভাবে তা সম্ভব হয়েছে সেই কথাই আমরা শুনব ডাঃ অ্যালেইদা গুয়েভারা এবং অধ্যাপিকা এস্তোফেনিয়া মাচিন গুয়েভারার কাছ থেকে। 
  
 

Comments :0

Login to leave a comment