কেন্দ্র সরকারের শ্রমকোডের ফলে কাজের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকরা। খর্ব করা হচ্ছে স্বাধীনতাও। ফলে শ্রমক্ষেত্রে তৈরী হচ্ছে এক অস্থির পরিস্থিতি। ফলত অবিলম্বে শ্রমকোড ফিরিয়ে নিতে হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনি দাবি করলেন সিআইটিইউ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আলম। পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনে সিআইটিইউ সভাপতি অনাদি শাহু ও উপস্থিত ছিলেন। এরই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন তারা।
জিয়াউল আলম বলেন,পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতি শিল্প ,সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোন দিকে থেকেই ভালো নেই। সবসময়ই একটা অস্থিরতা বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। এসআইআর'র জন্য শ্রমজীবী মানুষের মধ্যেও একটা অস্থিরতার টানাপড়েন রয়েছে। তারমধ্যেই দুই শাসক দল ধর্মকে কলঙ্কিত করে তাকে রাস্তায় নামিয়ে আনছে। উল্টো দিকে তাদের যে বিষয়ে সরকারের দায়বদ্ধ হওয়ার কথা সেখানেই তারা উদাসীন। এই জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন, মেহনতি মানুষের সংগঠনগুলি তাদের স্বার্থ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে।
রাজ্যের ৩৫০ টি চা বাগানের মধ্যে ১২ টি চা বাগান সম্পূর্ণ অচল, ৪৭ টি বেশি চা বাগানে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া বন্ধ রয়েছে ফলে সেখানকার শ্রমিকরা নিজেদের দাবি পূরণের জন্য বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বাগানের মালিকরা জমি লুঠ করে , দখল করে নিয়ে কর্পোরেটেদেড় হাতে তুলে দিচ্ছে। ফলে রাজ্যের চা বাগানগুলিতে যে লুঠতরাজ চলছে তার জেরে প্রায় ২ লক্ষ্য পরিবার অসহায় হয় পড়েছে। তবে এই বিসিআইএ সরকারের কোনো নজর নেই। পাশাপাশি, চটকলগুলিও বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেগুলি চালু রয়েছে সেখানে মালিকরা শ্রমিকদের উপর বেপরোয়া শোষণ চালাচ্ছে।বহু শ্রমিক তাদের শ্রম মূল্য পায়না। এই বিষয়ে রাজ্যের শ্রম দপ্তরে জানানোর পরেও শ্রমিকদের সাথে কোন রকম আলোচনায় বসতেই চাইনি রাজ্য সরকার। তার সাথে কর্মস্থলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে রোজ এই নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। কর্মস্থলগুলিতে কাজের পরিবেশের অবনতি ঘটছে প্রত্যেকদিন। তারপরেও শ্রমিকদের যে দেয় রাজ্য সরকারের নেওয়ার কথা সেই দেয় তারা নিচ্ছে না।
এরপরেও কোন রকম পূর্বপ্রস্তুতি না নিয়ে কেন্দ্র সরকার ২৯ টি শ্রম আইন বাতিল করে দেয় ফলে শ্রমিক- মালিক সম্পর্কে চির ধরছে। শ্রমিক কর্মচারীরা তাদের কাজের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদেরস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
তাই সরকারকে এই আইন গুলিকে ফিরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি কর্মীদের দ্রুত স্থায়ীকরণ করার দাবিও জানান তারা।
CITU
নিজেদের দায়িত্ব না পালন করে ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত দুই সরকার, বললো শ্রমিক নেতৃত্ব
×
Comments :0