সঙ্ঘ পরিবার এখন দেশের সরকার চালাচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে অগ্রাহ্য করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে নেমেছে সাংবিধানিক পদে আসীনরা। পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে আর্থিক বৈষম্য, জীবিকার সঙ্কট। দেশ বাঁচানোর লড়াই চলবে সংবিধান রক্ষার শপথে।
শুক্রবার সাধারণতন্ত্র দিবসে এই মর্মে আহ্বান জানিয়েছেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। কলকাতা এবং রাজ্যের জেলায় জেলায় বামফ্রন্ট কর্মীরা সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেছেন। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ফসল ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ধারণা। সংবিধান এই ধারণাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি দিয়েছে গণরাজ্যের ধারণাকে। তাকে রক্ষা করতে হবে, বলেছেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। হাজরা মোড়ে বামফ্রন্টের সভায় এই দায়িত্ব মনে করিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
কলকাতার এন্টালি বাজার সংলগ্ন এলাকা ও হাজরা মোড়ে বামফ্রন্টের উদ্যোগে সংবিধান রক্ষার শপথ গ্রহণ করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সংক্ষিপ্ত সভা করা হয়। বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মোদী সরকারের হাতে দেশের সংবিধান আক্রান্ত। দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা আদানি আম্বানিদের মুনাফা বাড়াতে ব্যস্ত। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সংবিধান রক্ষায় মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার দেশের পঁচাত্তরতম সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়েছে রাজ্যজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সরকারি অনুষ্ঠান, সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ ছাড়াও এদিন বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গনে মর্যাদা সহকারে পালিত হয় দিনটি।
কলকাতা সহ জেলায় জেলায় বামফ্রন্টের পক্ষ থেকেও সংবিধানরক্ষার আহবান জানিয়ে দিনটি পালিত হয়েছে। এদিন হাজরা মোড়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিমান বসু শুরুতেই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আরএসএস’এর মতাদর্শে চালিত মোদী সরকার দেশের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। স্বাধীনতার ছিয়াত্তর বছর পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দুর্দশা বেড়ে চলেছে। আদানি, আম্বানিরা মুনাফা পাহাড়ে বসে মোদীর প্রচারের ব্যবস্থা করে চলেছে। আর অন্যদিকে দেশবাসীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আশ্রয় সব কিছুর সর্বনাশ ঘটিয়ে, নানা ক্ষেত্রে অবাধে দুর্নীতি চলছে। নদী, পাহাড়, জঙ্গল, পরিবেশ সব কিছুই মুনাফালোভীদের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মানুষকে এর প্রতিবাদে সংগঠিত করতে হবে।’’
Comments :0