ধূসরবেলা
বিক্রম — বেতাল এবং চাঁদ
মনীষ দেব
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা।
মায়ের মুখে শোনা সেই ছড়ায় প্রথম অবাক হয়ে ছিলাম এই টা জেনে যে — চাঁদ আমাদের মামা এবং আপামর এই বাঙালির — চাঁদ মামা।
কিন্তু কেন এবং হঠাৎ সমস্ত মা-এর আপন মসাতুতো-মামাতো-খুড়তুতো-জ্যেঠতুতো-পাড়াতুতো ভাই হয়ে গেলেন — চাঁদ? জানা নেই!
বিস্ময়ে শুনেছি — চাঁদের এতো আলো ! — কিন্তু ক্লাসে গিয়ে জেনেছি — চাঁদের কোনও আলো নেই। সত্যি মিথ্যা জানিনা!
এবং — বিস্ময়ে জেনেছি — সূর্যও আমাদের মামা। — তা হোক এবং জেনেছি। সূর্যের আলোয় চাঁদ আলোকিত, বেশ বেশ তা এক মামার আলোয় আরেক মামা আলোকিত
হলে কার কী?
কিন্তু চাঁদ নিয়ে যে এত চাঁদ-মারি শুরু হবে কে জানতো!
এখন পাড়ার রাঙাঠাকুমাও কাশর ঘন্টা বাজিয়ে চাঁদের কথা বকছে। অথচ এই রাঙাঠাকুমা নাতিকে টমাটোর চাটনী খাইয়ে গল্প করে ছিল — চাঁদে তাদের টমাটোর বাগান আছে পেংলা সে গল্প শুনিয়ে, পেংলা থেকে 'চাঁদের টমাটো' হয়ে গেল, আর রাঙাঠাকুমা 'চাঁদের বুড়ী'।
এমনকি পড়ার বোচা বড়বাজার থেকে মাল আনতে গিয়ে হনুমান মন্দিরের পুরোহিত থেকে শুনেছে — প্রজ্ঞা চাঁদে খেলছে। চৌকস বোচার সপাট জিজ্ঞাসা – কোউন প্রজ্ঞানন্দ ও চাঁদ মে ভি দাবা খেল রাহা হায়? বহুত আচ্ছা। চেচিয়ে বলে ওঠে হনুমান পুরোহিত — চোপ একদম চোপ — বিক্রম চাঁদ মে পৌচ্ছ গ্যায়া — সপাট বোচা — আর এখানে বেতাল ভাট বকছে........!
Comments :0