পূজোর আগে নতুন করে ডেঙ্গুর প্রকোপ। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সরকারী হাসপাতাল গুলির তথ্য অনুযায়ী ১৭৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আরও অনেকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে নতুন করে ঘাটালে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডেঙ্গু আক্রান্ত চিহ্নিত হওয়ার আগেই অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁদের অনেকেরই রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়েছে।
ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপমহল গ্রামে ঘরে ঘরে একাধিক মহিলা-পুরুষ অসুস্থ। এর আগেও অনেকেই ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই গোপমোহল এলাকার বাসিন্দা শিখা চক্রবর্তী, সবিতা পট্টনায়ক, স্বর্ণলতা রানা টানা ৬দিন পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে। গ্রাম জুড়ে ঘরে ঘরে জ্বর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গ্রামে মেডিক্যাল সহায়তা কেন্দ্র বসেছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগৃহিত করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নিকাশির নালা মজে যাওয়ায় চাষের জমির অতিরিক্ত জল জমে থাকছে লোকালয় সংলগ্ন চাষের জমিতে। এবছর অতিবৃষ্টি ও ৫ দফা ধরে বন্যা হয়েছে ঘাটালে। চাষের জমিতে কোনও চাষ হয়নি। ফলে জমা স্বচ্ছ জল থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বলে আশঙ্কা তাঁদের। জানা যাচ্ছে এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপের কমাতে ছড়ানো হয় ব্লিচিং সহ তেল জাতীয় দ্রব্য।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে ছিলো নারায়ণগড় ব্লক। একই সাথে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। নারমা গ্রাম পঞ্চায়েতে আক্রান্ত ছিল ২৪ জন। তারপরই সরগেডিয়া ও আমবিসান গ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। তারপরই প্রসাশনিক টনক নড়ে ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কেশপুরে ২৫ জন, ডেবরাতে ১৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় বলে জানা গেছে। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশীর ভাগই বাড়িতে চিকিৎসাধীন। তবে ঘাটাল ব্লকের গোপমহলে ডেঙ্গুর প্রকোপে পুরো গ্রাম জুড়ে প্রভাব ফেলেছে।
Comments :0