বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে আকাশে রং বে-রংয়ের ঘুড়ি ওড়ে। একটা প্রচলন বহু বছর ধরে। আগে কচি কাঁচার ছেলেরা সুতোয় মাঞ্জা দিয়ে ঘুড়ি ওড়াতো। সময় বদলেছে। এখন আর মাঞ্জা সুতো নয় চায়না সুতোয় বাজার দখল নিয়েছে। ঘুড়ি কাটাকুটিতে সিন্থেটিক মাঞ্জা দেওয়া নাইলনের সুতোর চাহিদা বেড়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে চিনা মাঞ্জার দাপটে বেড়েছে গোটা রাজ্যে। যার দরুন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন অনেক মানুষ। প্রাণও হারিয়েছেন কিছু মানুষ। শুধু মানুষ নয় পাখিরাও সুরক্ষিত নয়। আকাশে উড়ার সময় তাদের ডানায় চায়না সুতো বেঁধে ডানা কেটে পড়ে যাওয়ার ঘটনার খবরও সামনে এসেছে। প্রশাসনের তরফে চিনা মাঞ্জা নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ফল হয়নি। নিষেধ উপেক্ষা করেই চলছে ‘চিনা মাঞ্জা’র বিক্রি ও ব্যবহার। চিনা মাঞ্জার দাপটে বুধবার প্রাক্তন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত সেনা জওয়ানের নাম গৌতম ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। জানা গেছে অবসরগ্রহণের পর তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজে যোগ দেন। এদিন বাড়ি থেকে মটরসাইকেলে করে এয়ারপোর্টে কাজে যাবার পথেই খড়দহে ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত্যু হলো তাঁর। খড়দহের কাছে কল্যাণী হাইওয়ে এক্সপ্রেসের উপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে খড়দহের বন্দিপুর হাস্পাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপতাল সূত্রে খবর চিনা মাঞ্জায় গলা কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণেই প্রাক্তন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। দেহ কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চিনা মাঞ্জা সুতোর বিক্রিতে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু প্রতি বছরই দেখা যাচ্ছে, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেদার চলছে চিনা মাঞ্জার বিক্রি। আর এই চিনা মাঞ্জায় ঠেকানো যাচ্ছে না দুর্ঘটনা।
Chinamanja
চিনা মাঞ্জায় প্রাণ হারালেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান

×
Comments :0