গণহত্যার দু’বছর। এভাবেই ৭ অক্টোবরকে দেখছে গাজা। মঙ্গলবারও ইজরায়েলের সেনা চালাচ্ছে আগ্রাসন। এর মধ্যে মিশরে সংঘর্ষ বিরতির আলোচনায় বসে মুখ্য দাবিগুলি জানিয়েছে গাজার প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাস।
সংঘর্ষ বিরতির কুড়ি দফা প্রস্তাব ঘোষণার পাশাপাশি ইজরায়েলকে আপাতত হামলা স্থগিত রাখতে বলেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে অন্তত ১০৪ প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছে ইজরায়েল। ২০২৩’র ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১৭০ বলে জানাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
২০২৩’র ৭ অক্টোবর গাজা থেকে রকেট আছড়ে পড়েছিল ইজরায়েলের ভূখণ্ডে। জায়নবাদী রাষ্ট্রের সুরক্ষার দাবি প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইজরায়েলের নাগরিকদের কাছেই।
তার আগে প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের সেনার দীর্ঘ দখলদারি, হত্যা, বিনা পরোয়ানায় নাগরিকদের গ্রেপ্তারির অসংখ্য ঘটনা কোণঠাসা করে রেখেছিল গাজাকে। কিন্তু ৭ অক্টোবরের বদলার নামে ইজরায়েল দু’বছর যা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ বাধ্য হয়েছে তাকে গণহত্যা বলতে।
মঙ্গলবার মিশরের শরম অল শেখে হামাসের মুখপাত্র ফওজি বরহৌম বলেছেন, ‘‘সব বাধা কাটিয়ে গাজার মানুষের আকাঙ্ক্ষা সত্যি হয় এমন সমঝোতা করতে আগ্রহী আমরা।’’
হামাস এদিন পরোক্ষ আলোচনায় বলেছে, গাজায় স্থায়ী এবং সুসংহত সংঘর্ষ বিরতি নিশ্চিত করতে হবে। বন্দি বিনিময়ের পর ইজরায়েল ফের গাজা ভূখণ্ড দখলে হামলা শুরু করল, এমন উদাহরণ রয়েছে।
হামাস স্পষ্ট করেই বলেছে গাজা থেকে ইজরায়েলের সেনার আংশিক প্রত্যাহার গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব নয়। ইজরায়েলের সেনাকে পুরোপুরি সরতে হবে গাজা ভূখণ্ড থেকে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে আসা ওষুধপত্র বা ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে বাধা দেবে না ইজরায়েল। গাজায় প্রায় সব বাসিন্দা ঘরছাড়া। তাঁদের ঘরে ফিরতে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংহতি উদ্যোগে গাজায় পাঠানো ফ্লোটিলা আটকে ইজরায়েল। গ্রেপ্তার করেছে সংহতি কর্মীদের। তার মধ্যে ছিলেন পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও।
হামাসের দাবির মধ্যে রয়েছে গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু করাও। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রযুক্তিবিদদের তৈরি গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিতে হবে সে কাজের। হামাস দাবি করেছে যে বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ এবং সঙ্গত হয়।
Gaza Peace Talk
গাজা থেকে পুরোপুরি সরতে হবে ইজরায়েলের সেনাকে, আলোচনায় দাবি হামাসের

×
Comments :0