Helpless Government

দেবদেবীর কৃপার ভরসায় অসহায় সরকার

সম্পাদকীয় বিভাগ

পুজো মণ্ডপে গান্ধীজীকে ‘অসুর’ বানানো হয়েছে। তাও কলকাতার রুবি পার্কের একটি পূজা মণ্ডপে। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর খুব ক্ষোভ! বিজেপি’র নাম না নিয়ে তিনি অভিশাপ দিয়েছেন, ‘দেশের এক নম্বর নেতা গান্ধীজীকে অসুর বানিয়েছেন আপনারা, মানুষ আপনাদের শাস্তি দেবে।’ বলেছেন বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া দশমী উৎসব সভায়। এই পুজোর অয়োজক ছিল অনামী সারা ভারত হিন্দু মহাসভা, উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলির অন্যতম একটি, যাদের সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবার এবং আরএসএস’র ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আরএসএস-ও গান্ধী হত্যা র স‍‌ঙ্গে যুক্ত, স্বীকার না করলেও হত্যাকারী গডসের ভাই ও অন্যতম অভিযুক্ত সেটা সগর্বে আদবানি, বাজপেয়ী এবং আরএসএস’র মুখের ওপর বলে এসেছিলেন। এগুলি প্রত্যক্ষ ইতিহাস। তৃণমূলের জন্মের আগে থেকেই এই ইতিহাস সকলের জানা। গান্ধীজীকে ‘অসুর’ বানানোর জন্য আরএসএস’র রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি-কে তিনি দোষারোপ করছেন যেন আকাশ থেকে পড়ে এই প্রথম তিনি এরকম কাণ্ডকারখানা দেখছেন! সঙ্ঘ পরিবার, আরএসএস-বিজেপি’র এই কলঙ্কিত ইতিহাস জেনে বুঝেই তিনি বিজেপি’র সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। ছ’বছর অধীনতা মেনে মন্ত্রিত্ব করেছেন, এখনও সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে অপ্রকাশ্যে মাখামাখি—উভয় দিক থেকেই। অথচ সবজান্তা তিনি জানতেই পারেননি গান্ধী হত্যার ঘটনা— গান্ধীজী সম্পর্কে সঙ্ঘ পরিবার, আরএসএস এবং তার বিভিন্ন সংগঠনের গান্ধীর প্রতি ঘোষিত বিদ্বেষ ও ঘৃণা!
যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনোদিন ছিল না— সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় বিভাজন— তা তিনি আমদানি করেছেন আরএসএস’র অচ্ছেদ্য রাজনৈতিক সঙ্গ অর্জনের পর। রাজ্যের  সরকারি ক্ষমতায় আসার পর কালবিলম্ব না করে লুট,মিথ্যাচার, হিংস্রতা সহ তাতেই সঁপে দেন রাজ্যশাসন। মুসলিম মৌলবাদীদের উস্কে দিয়ে বিজেপি আরএসএস-কে হিন্দুত্ব সাম্প্রদায়িকতার ফসল তোলর জন্য অবারিত সুযোগ করে দিল তৃণমূল— এটাই উভয়ের অচ্ছেদ্য বন্ধনের ভিত্তি! আবার বিজেপি’র উগ্র হিন্দুত্বের ভোটেও ভাগ বসাতে হবে, সেই ধর্মীয় উন্মাদনার খেলাও খেলে চলেছে, দেখাতে চান রাজনীতির কেন্দ্রভূমিতে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতাকে বসাতে তিনি বিজেপি’র চেয়ে কম যান না। দুর্নীতিতেও কনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বী। পুজোর নামেও তৃণমূলী লুটপাট একটা ব্যবসায় পরিণত।
২০১১ সাল থেকে মুসলিম মৌলবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের নিয়মবিরুদ্ধ সুযোগ-সুবিধা দিতে এমনকি বিধানসভা ও সংসদে যাবারও সুযোগ। অর্থের লেনদেন, সাম্প্রদায়িক তৎপরতা, মসজিদে মসজিদে ঘোরা, তাদের গোঁড়া অনুগামীর ভূমিকায় নামাজ সহ বিভিন্ন অভিনয়, এক মঞ্চে তাদের সঙ্গে ওঠাবসা, ভাববিনিময়। সরকারে বসতে না বসতে ইমাম মুয়াজ্জিনদের ভাতা মঞ্জুর হয়।
ভারতের সেকুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে যা করা যায় না, বাজপেয়ীর আমলে মোদীর আমলে, মুখে এক, কাজে অন্য নীতিতে— সংবিধানের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ চলেছে। তৃণমূলী শাসন তাতেই দীক্ষিত, সেকুলার-গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীতে। প্রতিপক্ষতো ধ্বংসে‍‌ও উভয়  স্বাভাবিক মিত্রের স্বাভাবিক রূপ। তৃণমূল ও আইন-আদালতের তোয়াক্কা করে না। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী সরকার কোনও বি‍শেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সরকারি অর্থ দিতে পারে না যেমন ইমাম ভাতা ইত্যাৃদি। তখন ওয়াকফ বোর্ড দিয়ে তা দেওয়া শুরু। ওয়াকফ বোর্ডকে কার্যত সরকারি ক্ষমতার কবলে নিয়ে আসা হয়েছে। বিজেপি এটাকে দেখিয়ে রাজনীতির সমগ্র জগৎ ছেড়ে মুসলিম তোষণের আওয়াজ তুলে হিন্দু ভোট কুড়োতে নেমে পড়ে। রাজ্যে এই সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের জন্যই তৃণমূলকে এতকাল ধরে আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার নানা ছলাকলায় লালনপালন করে আসছে। কারণ হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা পশ্চিমবঙ্গে হাজার চেষ্টা করেও দশকের পর দশক ধরে এগুতে পারেনি।
রামনবমীর অনুষ্ঠান, অস্ত্র নিয়ে মিছিল রাজ্যে কখনও দেখা যায়নি। সঙ্ঘীরা তৃণমূল জমানায় উৎসাসিত হয়ে তা শুরু করে, তাকে প্রচারের শীর্ষে নিয়ে আসতে তৃণমূলও অস্ত্রসজ্জিত রামনবমীর মিছিল, হনুমান জয়ন্তী গ্রামে পালন করতে শুরু করে দেয়।
২০১১ সালের নির্বাচনের দিন ঘোষণার কয়েক মাস আগে হঠাৎ জেলায় জেলায় সরকারি নির্দেশ যায়—তিনদিনের মধ্যে পুরোহিতদের তালিকা পাঠাতে হবে। তাদেরও বাংলা আবাস যোজনার ঘর, মাসোহারা দেবার ব্যবস্থা ঘোষণা হয়। ক’জন পেয়েছে এবং তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরে কতটা অংশ গেছে, সহজেই অনুমেয়— এটা অন্য বিষয়।
এত জ্বলন্ত সমস্যা, বেকারি, দারিদ্র, কর্মসংস্থানের জন্য হাহাকার, শিক্ষায় চরম নৈরাজ্য, ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অরাজকতা-জুলুম-নির্যাতন-দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি, প্রায় অবারিত সামাজিক সুরক্ষা-শিল্প ও কৃষিতে সরকারি নীতিজনিত বিপর্যয়— এত জ্বলন্ত সমস্যার কোনোদিকেই সরকারের বিন্দুমাত্র নজর নেই। উৎসব-মোচ্ছব, ধর্মীয় বিভাজন— ক্লাব, পূজা, কমিটি, মন্দির দখল ইত্যাদিই তৃণমূলের অগ্রাধিকার।
কংগ্রেস দলের মধ্যে অনেকেই হিন্দু মৌলবাদের সঙ্গে আদর্শগতভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেননি— স্বাধীনতার আগে এবং পরে সুভাষচন্দ্র বসু, নেহরুর মতো স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব এই গুরুতর দুর্বলতা উপলব্ধি করে কঠোর অবস্থানও নিয়েছিলেন। গান্ধীজী ধর্মপ্রাণা হয়েও ধর্মনিরপেক্ষ ভূমিকা দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করেছিলেন। গান্ধীজীর হত্যাকাণ্ডের পরেও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আপসহীন কঠোর ভূমিকায় কংগ্রেস দল স্থির থাকতে পারেনি। তার মূল্য এখনও কংগ্রেস দিয়ে চলেছে। এখনও তাদের সম্বিৎ ফেরার লক্ষণ নেই, যদিও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ মোটের ওপর বজায় রেখেছে।
স্বাধীনতার পর কংগ্রেস, কংগ্রেস থেকে ১৯৪০ সালে সাভারকারের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনে যোগদান, ১৯৪৬ সালে আবার কংগ্রেসে আসা, এক দশক পর স্বতন্ত্র পার্টি, এরপর জনসঙ্ঘ ও পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পত্তনে সহায়তা— ইত্যাদিতে ক্রিয়াকর্মের মধ্যে সোমনাথ মন্দিরের ইতিহাস তৈরি, মন্দির পুনর্নির্মাণে প্রধান এক ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিলেন গুজরাটের কানাইয়ালাল মানেকলাল মুন্সী যিনি মন্দির নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী নেহরুর কাছে সরকারি আর্থিক সাহায্য চেয়েছিলেন, নেহরু সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে এই সাহায্য করা যায় না। পরে তাঁকে উত্তর প্রদেশের রাজ্যপালও করা হয়। মন্দির পুনর্নির্মাণের অনুষ্ঠানে প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদকে যোগদান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করতে সফল হননি নেহরু। মুন্সী এবং সর্দার প্যাটেল একসঙ্গে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, প্যাটেলের মৃত্যুর পর মুন্সীই হন প্রধান।
নেহরুর এই ভূমিকার জন্য যেমন তিনি বরাবর সঙ্ঘ পরিবারের চক্ষুশূল, তেমনি গান্ধীজী এবং সুভাষচন্দ্র বসুও।
সাম্প্রদায়িকতা বনাম ধর্মনিরপেক্ষতার এই লড়াইতে এখন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার রাখঢাক ছাড়াই ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলার কাজটায় দিয়ে চলেছেন অগ্রাধিকার। ভারতীয় বিচারব্যবস্থাও বেশকিছু রায়ে সংবিধানবহির্ভূত অশোভন ভূমিকার পরিচয় দিয়েছে। প্রশাসনের ভূমিকা দাঙ্গার বিভিন্ন তদন্ত রিপোর্টে কড়া প্রশ্নের সম্মুধীন। ১১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী উজ্জয়নে উদ্বোধন করেন ৮৫০ কোটি টাকার মহাকাল মন্দির করিডর। এটা নতুন কিছু নয়। আট বছর ধরে দেশের সব জায়গায় তিনি ও তাঁর সরকার একাজ করে চলেছেন, সে তালিকা দীর্ঘ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন চলার সময় শেষ দফার ভোটগ্রহণের আগে পর্বতশীর্ষে কেদারনাথ মন্দিরের গুহায় সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদের রেখে ১৭ ঘণ্টা ধ্যান করে পুজো দেন। ২০২০ সালের আগস্টে সাড়ম্বরে রামমন্দিরের ভূমিপুজো সম্পন্ন করেন। সর্বত্র তিনি শিবের আশীর্বাদ চান। কারও ব্যক্তিগত ধর্মপালনে কোনও প্রশ্ন থাকে না। কিন্তু সরকারি আয়োজনে সরকারি পদাধিকার ব্যবহার করে ধর্মানুষ্ঠান ধর্মনিরপেক্ষ সাংবিধানিক নীতির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ধর্মরক্ষা, গোরক্ষা ইত্যাভদি নানা নামে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য জঙ্গি বাহিনী। গুজরাট থেকে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ থেকে সাম্প্রতিক কর্ণাটকে সরকার ও এই বাহিনী একসঙ্গেই কাজ করছে। সর্বত্র এদের হিংস্র কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের প্রস্তর নীরবতার উৎস এখান থেকেই। সাম্প্রদায়িকতা যাদের ধ্যানজ্ঞান, বর্বর হিন্দুরাষ্ট্র গঠন যাদের লক্ষ্য, তাদের কাছ থেকে গান্ধী হত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আশা করা বৃথা— ৭৫ বছরের কলঙ্কিত ধারাবাহিকতাই বজায় রেখেছে সঙ্ঘ পরিবার। মানবিকতা বা মনুষ্যত্ববোধের বিপরীত মেরুতেই তাদের জগৎ নির্দিষ্ট। ২০১২ সালে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের পর বিজেপি নেতারা মনমোহন সিং সরকারকে ধিক্কার জানিয়ে অপরাধীদের ‘ফাঁসি দো’ আওয়াজ তু‍‌লেছিল, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ নির্বাচনের আগে এই ধর্ষণকাণ্ডের জন্য কংগ্রেসকে পরাস্ত করার ডাক দিয়েছিলেন। মোদীর আমলে অসংখ্য ঘটনা, বিশেষত বি‍‌জেপি শাসিত রাজ্যে। কোথায় গেল মোদীর ক্ষোভ বিষোদগার যখন গুজরাট দাঙ্গায় ২১ বছরের অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা বিলকিস বানুকে দলবদ্ধধর্ষণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের গুজরাটের বিজেপি সরকার স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে মুক্তি দেয় এবং অপরাধীদের সংবর্ধনার আয়োজন করে। শুধু ধর্ষণ নয় তার পরিবারের সাতজনকে খুনও করে। খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, বিপুল অর্থ লোপাটের জন্য যাবজ্জীবন দণ্ড হলে তাদের শাস্তি কখনও কমানো যাবে না— এই মর্মে গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য গুজরাটে নির্দেশিকা পাঠায়, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম এই নির্দেশ লঙ্ঘন করে গুজরাটের বিজেপি সরকার। প্রাক্তন বিচারপতি সহ ১৪০ বিশিষ্টজন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মানবতার বিরুদ্ধেই অপরাধ সংঘটিত করেছে এই শাস্তিপ্রাপ্তরা, অথচ যেভাবে তাদের মুক্তিদান ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তাতে মনে হবে দেশের প্রতি বিরাট সেবামূলক কাজ তারা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বিলকিস বানুকে ৫০লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, বাড়ি ও চাকরি দেবার কথা। কোথায় কী! প্রধানমন্ত্রী মোদীর ধর্ম তখন কোন গুহায় মুখ গুঁজে‍‌ থাকে! জনগণকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষার কথা তাঁর কোন ধর্মে লুকিয়ে রাখতে হয়! শিবের আশীর্বাদের ভরসায় কী চুপ করে বসে আছেন!
উগ্র হিন্দুত্ব কেন বিজেপি’র একচেটিয়া হবে! কৃতিত্বের দাবিদার তৃণমূলও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ২২ আগস্ট তৃণমূলের তালিকাভুক্ত পুজো কমিটিগুলিকে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জড়ো করে বলে দিলেন, ‘আমার রাজস্ব শূন্য’ অর্থ নেই। তবু ৪৩ হাজার ক্লাবকে পুজো করার জন্য ৬০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য কিছু খরচ সরকারই দেবে, অনযান্যবারের চেয়ে বেশি— মোট ২৫৮ কোটি টাকা সরকার দেবে।’ এবং ভাঁড়ার শূন্য হলেও ‘আমার বিশ্বাস মা দুর্গা সেটা ভরিয়ে দেবেন।’ পাঁচ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ধার রাজ্যের। ধার শোধের ও সুদ গোনার সামর্থ্য নেই। উন্মোচিত দগদগে বীভৎস চেহারা। ধর্ম, উৎসব, পুজো, বুজরুকি দিয়ে কতটুকু ঢাকা পড়বে! ‘ভরসা
প্রধানমন্ত্রীর  ‘ভরসা শিবের আশীর্বাদ’, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভরসা ‘মা দুর্গা’য়। দেশের জনগণ অপেক্ষাতেই কেবল মগ্ন হয়ে থাকবেন, কবে কখন এই আশীর্বাদ বর্ষিত হবে! এসব ঘোষণা করছেন, তখন তাঁর সবচেয়ে প্রিয়ভাজন, বিশ্বস্ত  শিক্ষামন্ত্রী জেলে, তাঁর শাগরেদ জেলে, শিক্ষাটাই জেলে। ভালো করে দুর্নীতির তদন্ত হলে, শুধু সারদা-নারদ ও প্রকা‍‌শিত অন্যাান্য কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্যবস্থা নিলে গোটা সরকারটাই বন্দিদশা জুটতো। অক্ষম সরকার আছে দেবদেবীর ভরসায়। লুট ও ভণ্ডামিই মূল ধর্ম, উপলক্ষ ধর্মস্থান, দেবদেবীর মন্দির, মণ্ডপ। 

Comments :0

Login to leave a comment