MOHUNBAGAN WINS

টানা আটবার ডার্বি জিতে রেকর্ড গড়ল সবুজ মেরুন

খেলা

MOHUNBAGAN WINS জয়সূচক গোলের গোলের পরে পেত্রাতস। ছবি: অচ্যুৎ রায়।

কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতেও জয় পেল এটিকে-মোহনবাগান। এই নিয়ে টানা আটবার ডার্বি জিতে রেকর্ড গড়ল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। আর এই ম্যাচ জয়ের ফলে প্লে-অফে ঘরের মাঠেই ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে নামতে চলেছে ফেরেন্দো বাহিনী।

ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রেখে খেলতে শুরু করে এটিকে-মোহনবাগান। আর ততধিক ছন্নছাড়া ছিল ইস্টবেঙ্গল। গোটা ইস্টবেঙ্গল দলের খেলা দেখে মনেই হয়নি যে, দলের মধ্যে আদৌ কোনো বোঝাপড়া রয়েছে। অজস্র ভুল পাস, এবং তারফলে মাঝমাঠের দখল  লাল হলুদ ব্রিগেড নিতেই পারেনি। বরং অনেক বেশী জয়ের খিদে নিয়ে মাঠে নেমেছিল সবুজ মেরুন। দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং আশিক কুরনিয়ান বারংবার আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ান। তবে প্রথম একাদশে ছিলেন না কার্ল ম্যাঘাউ। যদিও  তার প্রভাব ফলাফলে পড়েনি।

অন্যদিকে গ্লেন মার্টিন্স, আশিস রাইও বেশ সপ্রতিভ ছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের নাওরেম মহেশ সিং কিছু পজিটিভ মুভ করেছিলেন। সেইসঙ্গে ক্লেইটন সিলভাও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। তাছাড়া ভিপি সুহের মাঝেমধ্যে জ্বলে উঠলেও তা যথেষ্ট ছিল না। তুলনায় সবুজ মেরুন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল, শুভাশিস সহ গোটা ডিপ ডিফেন্স ভরসা জোগায় দলকে। সাথে ভিশাল কেইথের অনবদ্য গোলকিপিং।  আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণ সংগঠিত হলেও প্রথমার্ধের ফলাফল ছিল গোলশূন্য।  

দ্বিতীয়ার্ধে আরও জাঁকিয়ে বসে সবুজ মেরুন। মাঝমাঠ ছাড়াও, দুটি উইংকে মারাত্মকভাবে কাজে লাগায় এটিকে-মোহনবাগান। নিখুঁত পাস এবং লং বলে নজর কাড়েন স্লাভকো ডোমানোভিচ। ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে তার পা থেকেই, ৬৮ মিনিটে। ইস্টবেঙ্গল গোটা ম্যাচে সেইভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি। মুহুর্মুহু আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে আবার গোল এবং এবার সেই সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। গোল করেই ছুটে যান গ্যালারির দিকে। আরও কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে গোলের ব্যাবধান আরও বাড়তে পারত। অন্যদিকে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের সুমিত পাসি। আর প্লে-অফ ম্যাচের আগে পরিবর্ত হিসেবে লিস্টন এবং কিয়ান নাসিরিকে নামিয়ে দেখে নিলেন কোচ।    

প্রায় ৫৬% বল পজিশন নিয়ে, ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ডার্বি জয় এটিকে-মোহনবাগানের। দুরন্ত পারফরম্যান্সের দরুণ ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন স্লাভকো ডোমানোভিচ।

(ছবি: অচ্যুৎ রায়)

Comments :0

Login to leave a comment