চিন্ময় কর- ঝাড়গ্রাম
ফের হাতির তাণ্ডব ঝাড়গ্রামে। চাষের জমিতে ঢুকে পড়ল হাতির দল। ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম জেলার ধোবাধোবিন মৌজা এলাকায় বাচ্চা হাতি সহ ১৮-২০টি হাতির একটি দল ঢুকে পড়েছে বলে খবর। ঘটনায় রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ এক রাতেই ৩৫-৪০ বিঘা জমির সবজি নষ্ট করে দিয়েছে হাতির পাল। খাবারের সন্ধানে হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়লে আতঙ্কে ঘুম উড়ে যায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের। কৃষকদের দাবি হাতির তান্ডবে ৫০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে ক্ষতির পরিমান।
ভূষণ মাহাত নামে এক কৃষক বলেন,‘‘ হাতির তান্ডবে তাঁর ছয় থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার শশা ও করলা চাষ নষ্ট হয়ে গেছে। আট বিঘা জমি তিনি চাষ করেছিলেন। দুই হাড়াই বিঘা রক্ষা পেয়েছে। তিনি বলেন, ৩৫ দিনে ফলন হয় তেমন করলা বীজের দাম ৩৩০০ টাকায় একশ গ্রাম, এবং শশা বীজের দাম ৪২০০টাকা। বিঘাপ্রতি সাড়ে সাতশ গ্রাম বীজ লাগে। সেই সঙ্গে কীটনাশক, দানা ঔষুধ, জৈব সারের খরচ’’।
সঞ্জয় মাহাত বলেন,‘‘তার শশা জমি শেষ করে দিয়েছে হাতির পাল। অনেক গুলি বাচ্চা হাতি সহ ১৮-২০টি হাতির পাল এক নাগাড়ে পুরো মৌজা জুড়ে তান্ডব চালিয়েছে। মাঝরাতে হাতির গর্জনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সেই আতঙ্কের মধ্যেই রাত কাটাতে হয়। তাঁর অভিযোগ, বনদপ্তরকে রাতে ফোন করলে ফোন না ধরে কেটে দেয় বারে বারে। সাত সকালে বনদপ্তর ফোন করে এলাকার খবর নেয়। তারপর বলা হয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যে ক্ষতিপূরণ সরকার দেয়, তাতে বীজের দামের অর্ধেকও আসে না’’। কৃসকদের দাবি লোকসানের গোটা খরচ ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিক সরকার।
গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে তাদের গ্রাম ধোবাধোবিন কাছেই ছোটো জঙ্গলে একটি হাতির দল আশ্রয় নেয়। তার পাশেই পুকুরিয়া বীট। তাদের দাবি বনদপ্তরকে বলা হয়ে ছিলো হাতিগুলোকে পুকুরিয়া বীট এলাকায় সরিয়ে দেওয়ার জন্য। হুলা পার্টি থাকলেও তাদের জঙ্গল লক্ষ করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না। হাতি না তাড়ানোয় একরাতে তাদের সর্বশান্ত করে দিল সেই হাতির দল। জাল দিয়ে মাচা তৈরি করে করলা, শশা গাছে সবে ফলন ধরেছিল। এখন ১০ ভাগ গাছও আস্ত নেই। ফলে এ ক্ষতি উঠবে না এবছর।
Comments :0