COP-30 Lula

বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনের মঞ্চে লুলার নিশানায় ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক

ব্রাজিলের বেলেমে বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনের মঞ্চে লুলা ডা সিলভা।

যারা যুদ্ধের জন্য ২ লক্ষ কোটি ডলার খরচ করে বছরে তারাই পরিবেশের জন্য দশ বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতে পারবে না কেন?
বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনের মঞ্চে এই প্রশ্ন তুললেন আয়োজক ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডা সিলভা। 
আমাজনের পারে বেলেম শহরে হচ্ছে ত্রিশতম বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলন ‘কপ-৩০’। 
২০০ দেশের ৫০ হাজার প্রতিনিধি রয়েছেন সম্মেলনে। রয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। এই মঞ্চেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিতে প্রশ্ন তুলেছেন লুলা। 
আগের বছর বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনেই ২০৩৫-র মধ্যে ১ লক্ষ কোটি টাকার পরিবেশ তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। উষ্ণায়নকে কমাতে পারে এমন জ্বালানি ব্যবহারের প্রযুক্তি দরকার। উন্নয়নশীল দেশগুলিকে প্রযুক্তি দেওয়ার জন্য এই তহবিল ব্যবহার হওয়ার কথা। কিন্তু বারেবারেই দেখা গিয়েছে যে শিল্পোন্নত ধনী বিশ্ব তাদের ভাগের খরচ করছে না।
লুলা আরও বলেছেন, বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যবেক্ষণের ওপর দাঁড়িয়েই পরিবেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে। বাঁচাতে হবে গ্রহকে। মিথ্যা এবং ঘৃণার প্রচারে মত্ত থেকে একাজ করা যায় না। 
লুলা বলেছেন, ওরা সোশাল মিডিয়ায়, ইন্টারনেটে অ্যালগরিদমকে নিয়ন্ত্রণ করে। মিথ্যা খবর প্রচার করে। বৈজ্ঞানিক প্রমাণকে অস্বীকার করে। এই পরিবেশ সম্মেলন চিহ্নিত হয়ে থাকুক সত্যের পক্ষে সম্মেলন হিসেবে। 
ট্রাম্প বারবার সরাসরি বিশ্ব উষ্ণায়নের তত্ত্বকেই অস্বীকার করেছেন। গোটাটাই ভুয়ো বলে প্রচার করেছেন। কয়লা, পেট্রোলিয়ামের মতো জ্বালানির উৎপাদন ফের ব্যাপক মাত্রায় বাড়ানোর নীতি ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। কেবল তাই নয়, পরিবেশ বান্ধব পুনর্বীকরণযোগ্য জ্বালানিতে ১৩০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ বরাদ্দ কমিয়েছেন। 
লুলা বলেছেন, সত্যকে যারা অস্বীকার করে, তাদের পরাজিত করতে হবে।  
রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিবেশ বিষয়ক কমিটির প্রধান সচিব সাইমন স্টেইল জানিয়েছেন যে বছর বছর পরিবেশ সম্মেলন করে পৃথিবীকে তপ্ত করে এমন গ্যাসের নির্গমন কমানো গিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে জাতীয় স্তরে নীতি নেওয়া হয়েছে। তবে ২০১৬’র প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে বাকি অনেক কাজ। শিল্পায়নের আগের পর্বের তুলনায় বিশ্বের গড় উত্তাপ ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে বেঁধে রাখার কথা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে চলতি মাত্রায় গ্রিন হাউস গ্যাস বাতাসে মিশলে শতাব্দীর শেষে ২.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে উত্তাপ। 
ব্রাজিলের পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার আন্দরে কেরেয়া ডো লোগো সভাপতিত্ব করছেন সম্মেলনে। তিনি বলেছেন, কেবল সিদ্ধান্ত নয়। প্রয়োগের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা জরুরি। জলবায়ুর পাশাপাশি অর্থনীতি, রোজগার, কাজের ক্ষেত্রগুলির সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। আমরা সেই চেষ্টাই করব।

Comments :0

Login to leave a comment