মণ্ডা মিঠাই
বড়দিনের আলোকে বিজ্ঞানের বরপুত্র স্যার আইজ্যাক নিউটন
ঋষিরাজ দাশ
নতুন বন্ধু
নতুনপাতা
স্যার আইজ্যাক প্রখ্যাত একজন ইংরেজ গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, এবং সেই সঙ্গে একাধারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক ও আলকেমিস্ট । অনেকের মতে নিউটন পৃথিবীর সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর এক বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থ “ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা”(Philosophiae Naturalis Principia Mathametica) অর্থাৎ, “প্রিন্সিপিয়া” নামক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় যেখানে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিবৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তাঁর গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগতে এক আধিপত্য বিস্তার লাভ করেছে। তাঁর গবেষণার ফলেই সৌর কেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণা পেছনেও সামান্যতম সন্দেহ দূরীভূত হয় এবং বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়। সেইসঙ্গে নিউটন রচনা করেছেন বলবিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি। আলোকবিজ্ঞানে কোথায় আসলে তাঁর হাতে তৈরি প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের কথা এসে যায়। একই সাথে তিনি আলোর বর্ণের উপর একটি তত্ত্ব রচনা করেন আরেকটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন। পর্যবেক্ষণটি ছিল প্রিজমের মধ্য দিয়ে যাওয়া আলোর বিক্ষেপণের উপর , যার মাধ্যমে দৃশ্যমান বর্ণালীর সৃষ্টি হয়েছিল। আবার গণিতের জগতেও নিউটনের জুড়ি মেলা ভার। স্যার আইজ্যাক নিউটন এবং গটফ্রিড ভিলহেল্ম লিবনিজ্ ( Gottfried Wilhelm Leibniz ) যৌথভাবে “ক্যালকুলাস” নামক গণিতের এক নতুন শাখার পত্তন ঘটান। এই নতুন শাখাটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে বিপ্লব সাধনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া নিউটন সাধারণকৃত দ্বিপদী উপপাদ্য প্রদর্শন করেন। এমনকি ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে রয়েল সোসাইটি বিজ্ঞানী ইতিহাসের কার প্রভাব সবচেয়ে বেশি এ প্রশ্ন নিয়ে একটি ভোটাভুটির আয়োজন করলে ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, নিউটন আইনস্টাইনের চেয়েও অধিক প্রভাবশালী। এক কথায় বলতে গেলে আইজ্যাক নিউটন ছিলেন ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক মনের অধিকারী বলে বিবেচিত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি অভিজাত গোষ্ঠীর একজন। তাঁর কৃতিত্বগুলি গণিত, রসায়ন, আলোকবিদ্যা এবং দর্শন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে তিনি সংযুক্ত বলে মনে করেন। তাঁর আবিষ্কার গুলি, যা মৌলিক নীতিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে ক্যালকুলাস, গতিসূত্র, মহাকর্ষীয় তথ্য, রঙের তত্ত্বগুলির ভিত্তি তৈরি করে, স্পষ্টভাবে সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়েছে।
সপ্তম শ্রেণী
কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠ
খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
মজুমদার ভিলা, কল্যাণ নগর
খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
চলবে
Comments :0