২৮ তারিখ , বছরের শেষ শনিবারে রয়েছে আইএসএলের দুটি ম্যাচ। বিকেল ৫টায় প্রথম ম্যাচে গাচ্চিবৌলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদ ও ইস্টবেঙ্গল। সন্ধ্যা ৭:৩০টায় মাঠে জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে নামবে চেন্নাইন ও বেঙ্গালুরু এফসি।
কার্লোস কুয়াদ্রাতের বিদায়ের পর অস্কার যখন লাল হলুদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন ইস্টবেঙ্গলের অতি বড় সমর্থকও কল্পনা করেনি যে লড়াইয়ে ফিরতে পারে তার প্রিয় দল। কিন্তু সেই কল্পনাকেই বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন অস্কার। তার আগমনের পর ডার্বি হারলেও ভুটানে গিয়ে এএফসির নক আউটে পৌঁছেছে লাল হলুদ। পাঞ্জাব ও জামশেদপুরের বিরুদ্ধে দারুণ জয় পাওয়ার পর যেন চেহারায় পাল্টে গেছে গোটা দলটার। জিততে ভুলে যাওয়া একটা দলের সেনাদের মননকোষে জয়ের বীজ বপন করতে সক্ষম হয়েছেন সেনাপতি অস্কার। মাঝমাঠের প্রাণভোমরা মাদি তালাল চোটের কারণে গোটা মরশুম ছিটকে গেলেও বিকল্প স্ট্র্যাটেজির বর্শায় বিদ্ধ করছেন বিপক্ষকে। অস্কারের আসার পর যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন বিষ্ণু। বাঁ দিক থেকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাঞ্জাব ম্যাচে তার আসার পরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। তবে তালালের বিকল্পের ভাবনা শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কথা বলছে বেশ কিছু বিদেশির সাথে। শনিবারের ম্যাচে তাই বিষ্ণুকে শুরু থেকেই খেলানোর ভাবনা রয়েছে অস্কারের। স্ট্রাইকার পজিশনে ক্লেটনও বেশ নাড়াচাড়া করছেন। প্রথমদিকে কিছুটা হোঁচট খেলেও এখন বেশ অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছেন আনোয়ার। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাই দলগত পারফরম্যান্সের জেরেই ৩ পয়েন্ট পেতে চান অস্কার ব্রুজন। অন্যদিকে থানবয় সিংটোর সাথে বিচ্ছেদের পর আপাতত হাইদরাবাদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ শামিল চাম্বাখাত। টালমাটাল পরিস্থিতি নিজামসদের। শনিবার জিততে পারলে ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে উঠে আসবে ইস্টবেঙ্গল। এখনও পর্যন্ত মোট ১০ বারের মুখোমুখি সাক্ষাতে ৪ বার জিতেছে হাইদরাবাদ ও ৩ বার জিতেছে ইস্টবেঙ্গল।
অপর ম্যাচে সন্ধ্যায় সুনীলের বেঙ্গালুরু চেন্নাইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে। ম্যাচ জিতলেও শীর্ষে থাকা মোহনবাগানের সাথে সেই ২ পয়েন্টের পার্থক্য থেকেই যাবে বেঙ্গালুরুর।
Comments :0