মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করলো কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২১ সালে বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল। পিএসি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন মুকুল। বিধায়ক পদ খারিজ হওয়ার সঙ্গেই পিএসসি চেয়ারম্যান পদ খারিজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ৷
২০২১ সালে বিজেপি থেকে তৃণমূলের চলে যাওয়ার পরও পিএসি চেয়ারম্যান করা হয় মুকুল রায়কে। নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দলের সদস্যকে বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। তৃণমূল চলে যাওয়ার পরও কী করে মুকুলকে বিজেপির জনপ্রতিনিধি হিসাবে দেখানো হল। বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি তখন বলেছিলেন, "মুকুল বিজেপিতেই আছেন। তাই তাঁর পদ খারিজ করা যাবে না।" বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়।
২০২১ বিধানসভা ভোটের মাস খানেক বাদে মুকুল রায় আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার ফলে ওই আসন খালি হয়ে গেলো। কিন্তু ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন থাকার কারণে আর উপনির্বাচন হবে না।
একাধিক বিজেপির বিধায়ক দলপরিবর্তন করে তৃণমূলে গেছেন। কিন্তু তাঁদের কারোর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন বলবৎ করা হয়নি। মুকুল রায়ের মতো একই ঘটনা দেখা গিয়েছিলো ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর। কংগ্রেস থেকে মানস ভূঁইয়া তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু তাকে বিরোধী দলের সদস্য দেখিয়ে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান করে হয়েছিল।
Comments :0