Chithir Jhanpi

চিঠির ঝাঁপি

ছোটদের বিভাগ

Chithir Jhanpi

চিঠির ঝাঁপি 

পিন্টু বুয়া শ্রেষ্ঠার প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক শেষ। এখন হৈ হৈ রই রই করে সময় কাটানোর কথা। ব্যাট-বল, ফুটবল. শ্রেষ্ঠাদের ড্রয়িং ক্লাস শুরু। যদিও শ্রেষ্ঠারা আর সেলাই, ড্রয়িং নিয়ে তেমন উৎসাহ নেই, এখন ওরাও পিন্টুদের মত প্যাড গ্লাভলাভ হেলমেট পরে বেশিরভাগ সময়টা মাঠেই কাটায়। পিন্টুরা প্রথম প্রথম খুব হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিত। এখন একটু দমে গেছে। শ্রেষ্ঠাদের হঠাৎ দাপটে মাঠ পাওয়াই ঝামেলা হয়েছে। ওরা প্রায় উদ্বাস্তু হতে চলেছে। কাগজে কাগজে শ্রেষ্ঠার বন্ধুদেরই দাপট। তিন কলম ভর্তি বড় বড় ছবি আর লেখা। কি আর করা, সবই মেনে নিতে হচ্ছে। 


কিন্তু এসব কোন সমস্যা বুয়াদের, এমনকি শ্রেষ্ঠাদেরও ভাবাচ্ছে সবারই একই দশা। পরীক্ষায় স্যার আন্টিরা যা পড়িয়েছেন, সবই তারা তেমনি করেই লিখেছে। কিন্তু 
এখনতো দেখি তাতেই নাকি বিপদ ঘাড়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাদের অনেক স্যার আন্টি নাকি নিজেই ঠিকঠাক পড়াশোনা করেনি। শোনা যাচ্ছে অনেক স্যার আন্টি 
নাকি ঠিকমত পরীক্ষায় পাস না করেই। শুধু টাকার জোরে স্কুলে পড়াতে ঢুকেছে ফল যা হবার তাই হয়েছে। তাদের ভুলভাল অংক ভূগোল ইতিহাস পড়িয়েছেন। ব্যাস পিন্টু ভুয়া শ্রেষ্ঠারা সেই ভুল পড়া শিখে পরীক্ষা সেটাই লিখে এসেছে হয়তো। এই যুগের স্যার আন্টিরা তো পগার পার হয়ে গেলেন, কিন্তু পিন্টু বুয়াদের কি হবে? পরীক্ষার পাতায় কি আর ভালো ভালো নম্বর আসবে? এমনি তরো অবস্থা কি কখনো ভাবতে পেরেছিল! বাড়িতে বাবা মা মিনতি পিসি সবার ঐ এক চিন্তা। বলতো তোমরা এমনি তরো অবস্থাতো তারা ভাবতেই পারেনি, বাবা-মা পিসিরা এখন কি করবে? আমি বলি ভয় পেয়োনা, আমরা ঠিক একদিন ঠিকঠাক পড়ানোর স্যার আন্টিদের পাবো, পাবোই। সবাই আমার আদর আর ভালোবাসা নিও।

তোমাদের নতুনদা।

Comments :0

Login to leave a comment