অভীক ঘোষ: হুগলি
অল্পের জন্য রক্ষা হুগলীর দম্পতির! মুম্বই যাচ্ছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার মুম্বই এক্সপ্রেসে যাত্রী ছিলেন হুগলীর খামারগাছির দম্পতি, শ্যামাপ্রসাদ হালদার ও অঞ্জনা হালদার। তাঁদের বাড়ি হুগলীর বলাগড়ের খামারগাছি মুক্তকেশি তলায়। চিকিৎসার জন্য মুম্বাই যাচ্ছিলেন।
ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীদের পরিবার।
শ্যামা প্রসাদ হালদার ফোনে জানান, তখন ভোর সারে তিনটে হঠাৎ ঝাঁকুনি আর প্রচন্ড শব্দে ট্রেনের কামরা হেলে পড়ল। বি-২ কামরায় ছিলেম পিছনের দিকের মোট ১৮ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। চক্রধরপুরের কাছে ওই লাইনের পাশে আরো একটি লাইন তৈরি
হচ্ছে। সেই লাইনের নীচে গভীর খাদ। সেখানে পরে গেলে হতাহতের সংখ্যা হত বহু।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আহত নয় এমন যাত্রীদের চক্রধরপুর পর্যন্ত একটি ট্রেনে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে।
পাশাপাশি মুম্বাই মেলের যাত্রী ছিলেন বরুণ দাস। কোচ বি২ সিট নাম্বার ৬৯। হুগলির গুপ্তিপাড়া বাড়ি। মুম্বাই যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তার ভাই গৌরাঙ্গ দাস হাওড়ার হেল্প ডেস্কে এসেছেন। পিএনআর নাম্বার ও ফোন নাম্বার সহ ডিটেইলস দিলেও এখনও খবর পাননি, দাদা কেমন আছেন।
Comments :0