Dunlop Workers

আদালতের নির্দেশে শ্রমিকদের বকেয়া মেটানো শুরু ডানলপে

রাজ্য

Dunlop Workers কোর্টের নির্দেশে চলছে শ্রমিকদের কাগজ জমা নেওয়ার কাজ। ছবি: অভীক ঘোষ

শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো হুগলির সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানায়।অবশেষে শ্রমিকদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি, ইআরএস এবং ওটিএস’র বকেয়া টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

 

কারখানার স্বীকৃত তিনটি শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকদের বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়া জন্য ফর্ম জমার ব্যবস্থা করেছে। গত ২৮ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন যে সাহাগঞ্জ ডানলপ কারখানার ১৪১৫ জন শ্রমিকের গ্র্যাচুইটি, ইআরএস, ওটিএস’র বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। 

১২ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়া চলবে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত। 

২০১৩’তে হাইকোর্টের নির্দেশে লিকুইডেশনে চলে যায় এই কারখানা। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য মামলা করে কারখানার তিনটি শ্রমিক ইউনিয়ন। সেই মামলাতেই হাইকোর্ট বকেয়া টাকা মেটানো নির্দেশ দেয়। 

২০১৩’র ৩১ জানুয়ারি বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জির তত্ত্বাবধানে লিকুইডেটর অধিগ্রহণ করে ডানলপ কারখানা। বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলার পর ২০১৭ সালে অধিগৃহীত ডানলপ কারখানার গেটের দেওয়ালে ঝোলানো হয় লিকুইডেশনের নোটিস। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় লিকুইডেটরের সংস্থা হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ এবং তামিলনাড়ুতে অবস্থিত অম্বাত্তুরের ডানলপ কারখানার স্থাবর অস্থাবর বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা গন্ডা মেটাবে।

 

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ডানলপের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে জানা যায় ৩০০ কোটি টাকার কিছু বেশি মূল্য হুগলীর সাহাগঞ্জ কারখানার।  ৪০০ কোটি টাকার বেশি মূল্য তামিলনাড়ুর অম্বাত্তুর ডানলপ কারখানার। ডানলপের হেড অফিস বাদে সারা দেশের ডানলপ কারখানার নামে থাকা সমস্ত সম্পত্তি লিকুইডেটর সংস্থা অধিগ্রহণ করে। 

লিকুইডেটরের পক্ষে বকেয়া সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ডানলপ কারখানার সিআইটিইউ সহ আরও ২টি স্বীকৃত ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও এই কাগজ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ডানলপ কারখানার কর্মরত ১৪১৫ জন শ্রমিকের পিএফ বাদে বকেয়া নির্ধারিত হয় ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানা সেই সময় লিকুডেটররা পরির্দশনে আসলে এলাকার সমাজ বিরোধীরা তাদের কাজে বাধা দেয়। আদালতের নির্দেশে আসা প্রতিনিধি দলকে পুলিশ প্রশাসনও কোনও সাহায্য না করে নিশ্চুপ থাকে। যার ফলে প্রথম টেন্ডার প্রক্রিয়াই বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তী সময় ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে লিকুইডেটর সংস্থা ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ব্যবসায়ীদের নিয়ে নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কারখানা পরিদর্শনে আসে। অনলাইনের মাধ্যমে সমস্ত নিলাম প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। ১৭৩ কোটি টাকা পিএফ বকেয়া। সবার আগে এই টাকা শ্রমিকদের এই প্রাপ্য মেটানোর নির্দেশ লিকুইডেটরকে দিয়েছে পিএফ কমিশনার।

Comments :0

Login to leave a comment