বিকাশশীল দেশগুলির গোষ্ঠী ‘ব্রিকস’-র নিন্দা জারি রাখল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বললেন, ‘ব্রিকস’ দেশগুলি ভ্যাম্পায়ারের মতো শোষণ করছে আমেরিকাকে!
সোমবারই ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক করে ‘ব্রিকস’। আমেরিকার একতরফা শুল্কযুদ্ধের নীতি মোকাবিলাতেই হয় আলোচনা। এই বৈঠকে অংশ নেনন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা নাভারোর অভিযোগ, ‘‘ব্রিকস’ দেশগুলির রপ্তানি বাজার আমেরিকাতেই। অথচ এরাই নিজেদের দেশে আমেরিকার পণ্যে উঁচু হারে শুল্ক চাপায়। ভারত তো শুল্কের মহারাজ!’’
নাভারো বলেছেন, ‘‘ব্রিকস গোষ্ঠীর দেশগুলি একসঙ্গে থাকতে পারবে না। ঐতিহাসিকভাবেই এরা একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।’’
‘ব্রিকস’ নিয়ে আমেরিকা এবং ট্রাম্প বারবারই সরব। বিশ্লেষকরা বলছেন, একমেরু বিশ্বে একতরফা নীতিতে চলতে চাইছে আমেরিকা। ভারত, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলের মতো বড় অর্থনীতির সঙ্গে জুড়ে নতুন দেশও। এদের বাজার দখলই মাথাব্যথা আমেরিকার। যে কারণে এই গোষ্ঠীর বিপক্ষে নিন্দাবাদ জারি রেখেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীতে যোগ দেয় মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ২০২৫ সালে যোগ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। উন্নয়নশীল বিশ্বের একাধিক দেশের আগ্রহ বাড়ছে এই গোষ্ঠীকে ঘিরে। ডলার নির্ভরতা কাটিয়ে বাণিজ্য সম্পর্ক তৈরির আলোচনাও করেছে ব্রিকস। আমেরিকা উদ্বিগ্ন সে কারণেও।
এদিনও ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন নাভারো রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য। নাভারো বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে তেল কিনছে ভারত। যুদ্ধে ভারতেরও ভূমিকা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত অভিযোগ তুলেছে যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ঘুরপথে ভারতের থেকে রাশিয়ার পরিশোধিত তেল কিনেছে।
নাভারো আক্রমণ করেছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডা সিলভাকেও। ট্রাম্পের অনুগামী উগ্র দক্ষিণপন্থী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বোলসোনেরো আদালতের নির্দেশে বন্দি জেলে। তাঁকে ‘আসল নেতা’ বলেছেন নাভারো।
নাভারোর আক্রমণের কেন্দ্রে ছিল চীনও। বলেছেন, রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় উপনিবেশ করে ফেলেছে চীন। নজর ভ্লাদিভোস্তক বন্দরেও!
Peter Navarro BRICS
‘শুল্কের মহারাজা ভারত‘, ব্রিকস-কেও আক্রমণ ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টার

×
মন্তব্যসমূহ :0