মোদী সরকার ৪ শ্রম কোড লাগু করেছে। গোটা দেশ আন্দোলনে চলছে এই শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোডের বিরুদ্ধে। ২৬ নভেম্বর দেশ জুড়ে শ্রমিক কৃষিক মেহনতি মানুষ রাস্তায় নেমেছে। কলকাতায় বিশাল সমাবেশ করেছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমুহ। দেশ ও রাজ্যের সরকার শ্রমজীবী মানুষের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক জিয়াউল আলম শ্রম কোডের বিরুদ্ধে শ্রমিক কৃষক কর্মচারী খেতমজুররদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানান।
জিয়াউল আলম বলেন, "নির্বাচনের মুখে প্রধানমন্ত্রী ও তার সঙ্গীরা যা বলেন আর পরে যাহা করেন তা সম্পূর্ণ বিপরীত। ৫২ কোটি মেহনতি মানুষ দেশের চালিকা শক্তি, তাঁদের উপর আক্রমন করছে মোদী-শাহ। ফলে আক্রন্ত হচ্ছে অর্থনীতিও। আসলে মেহনতি মানুষকে দাসে পরিণত করবেন বলে শ্রম কোড চালু করছেন। ট্রাম্প শুল্কের হুমকি দিচ্ছে, সমাধান করতে পেরেছেন? মনে করেন শ্রমিক কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে ঘাটতি মেটাবেন? আলোচনা যে পথে চলছে আমেরিকার জন্য ভারতের কৃষি বাজার উদার করে দিতে হবে। তাহলে লড়াই করে যে অর্জিত স্বনির্ভরতা অর্জন করেছি তা ধ্বংস হবে। ২৬ নভেম্বর নতুন শপথ, আরও আগ্রাসী ভূমিকা নিতে হবে শ্রমিক কর্মচারীদের। ১ ডিসেম্বর থেকে সংসদের প্রতিটি আলোচনা খেয়ালে রাখব। ২২ তারিখে কলে কারখানয়, মাঠে ময়দানে শ্রমকোডর চ্যালেঞ্জ তার প্রতিরোধে করার দিকে এগিয়ে যাবো।"
তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে নাকি লাগু হতে দেবে না। বিধানসভায় আপনি আলোচনা করেছেন কোনও প্রস্তাব নিয়েছেন? শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসেছেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একের পর এক বিভাগে কন্ট্রাক্ট লেবার নেওয়া হচ্ছে। তা কোন আইনে করেছেন? এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে, ভোটের রাজনীতি করতে, আপাত দৃষ্টিতে মোদীর থেকে দূরত্ব দেখানোর জন্য বিরোধিতা করছেন। এই সমাবেশ থেকে মুখ্যসচিব, সরকারের কাছে আহ্বান করছি,অবিলম্বে সব শ্রমিক কর্মচারী সংগঠনকে ডেকে আলোচনা করুন। আমাদের শ্রম কাঠামো, শিল্প, অর্থনীতির অবস্থা, ক্ষুদ্র-মাঝারি বা বড় ক্ষেত্রের অবস্থা ভালো না। এইভাবে যদি শ্রমিক কর্মচারীদের অধিকারহীন করা হয় তাহলে কখনই এককভাবে মালিকপক্ষ কেবল শ্রম কোডের জোরে কলকারখানা চালাতে পারে না। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা না হলে অর্থনীতি এগতে পারে না। আপনি শ্রম কোডের বিরোধিতা করতে চান, অথচ,কর্মচারীরা আদালতে ছুটে বেড়াচ্ছেন, অথচ ন্যায্য ডিএ অধিকার মানেননি। শূন্য পদে নিয়োগ করেননি। ধান কাটা শুরু হয়েছে। কোনও জায়গায় প্রকৃত ছোট-মাঝারি বা বড় কৃষক সরকার ঘোষিত দামে কোনো অসুবিধার মুখে না পড়ে ধান বেচতে পারছে? তিন বছর ধরে একশো দিনের কাজ বন্ধ মানে কোটি কোটি শ্রমদিবস নষ্ট হয় সে হিসাব দিক রাজ্য সরকার। ফলে এরাজ্যে রেকর্ড সর্বনিম্ন মজুরিতে কাজ হচ্ছে সব সেক্টরে। এরাজ্যের কর্মকর্মসংস্থানের অবস্থা তলানিতে থেকেছে। শ্রম কোডকে কেবল চ্যালেঞ্জ করছি না। আমাদের জমি, মজুরি, স্বাস্থ্যের অধিকার আমরা বজায় রাখব।"
Comments :0