কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দীঘায় বেআইনি হোটেল উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ধন্ধুমার। পুলিশকে বাধা দিলে গ্রামবাসীদের উপর লাঠিচার্জ। দীঘা উন্নয়ন পর্ষদ সহ পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনার পরও সমস্যার সমাধান মেলেনি। শুরু হয়েছে বেআইনি হোটেল ভাঙার কাজ।
হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দিঘার মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন চারটি বেআইনি হোটেল উচ্ছেদের জন্য আসেন দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক মানস কুমার মন্ডল, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ডিএসপি, এসআর ও ২ সুধীন গিরি, হেড ক্লার্ক চন্দন কুমার, স্থানীয় কোস্টাল থানাথানা, মোহনা থানা। ঘটনাস্থলে দীঘা থানার পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ আসার আগেই মন্দারমণি এলাকার দক্ষিণ পুরুষোত্তম পুরের গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে নামেন। রাস্তার উপর কাঠের গুড়ি ফেলে প্রতিবাদ করেন তারা। তাদের দাবি শুধু এই ৪ টি হোটেল কেন ? মন্দারমণি সহ দীঘায় এধরনের বহু বেআইনি হোটেল, লজ রয়েছে। ভাঙতে হলে সবগুলি ভাঙা হোক।
সিপিআই(এম) নেতা আশীষ প্রামানিক প্রশ্ন তোলেন যখন এই হোটেলগুলি তৈরি হচ্ছিল তখন প্রশাসন কোথায় ছিল? এই হোটেলগুলোর অনুমোদনই বা পেয়েছিল কি করে? ইতিপূর্বে সরকারি উদ্যোগে হোটেলগুলো যখন ভাঙতে আসা হয়েছিল তখন তৃণমূলের তরফে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন এই বেআইনি হোটেলগুলি তৈরির পেছনে প্রশাসন ,পুলিশ এবং তৃণমূল নেতাদের কোটি কোটি টাকার লেনদেন জড়িয়ে রয়েছে। সিপিআই(এম) পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় হোটেলে যারা কর্মচারী তাদের রুটি রুজি জড়িয়ে আছে। অতিসত্বর তাদের কাজের ব্যবস্থা দিতে হবে প্রশাসনকে।
এদিন এলাকার মানুষ একাধিক দাবি নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে ধস্তাধস্তিতে শুরু হয়ে যায়। পরে আলোচনায় বসলেও দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টায় সমস্যা সমাধান হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে হোটেলে ভাঙার কাজ শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এলাকায়।
Comments :0