Bangla Bachao Jatra

দেশ বাঁচাতে শক্তিশালী করতে হবে লালঝান্ডাকে: তেহট্টে সেলিম (দেখুন ভিডিও)

রাজ্য জেলা বাংলা বাঁচাও যাত্রা

বাংলা জাগছে। বাংলা পরিবর্তন চাইছে। কোন বাংলার পরিবর্তন? যে বাংলায় গীতাপাঠের মাঠে প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধর করা হয়। আগে শুনতাম উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থানে হয়। এখন নবান্নের অদূরে হচ্ছে। আমরা বলেছি আসলে আমিশ নিরামিশ মাংস এসব নয়। এদের উদ্দেশ্য আসলে মানুষের মধ্যে বিভেদ ছড়ানো। বামপন্থা মানে খাদ্যের অধিকার। আর দক্ষিণপন্থা মানে রেশন তুলে দেওয়া। তা থেকে নজর ঘোরাতে এসব আমিশ-নিরামিশ বিবাদ তৈরি করা হচ্ছে। 
নদীয়ার তেহট্টে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’-র জনসভায় একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জনসভায় ছিলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সুজন চক্রবর্তী, মীনাক্ষী মুখার্জি, নদীয়া জেলা সম্পাদক মেঘলাল শেখ, রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ সহ নেতৃবৃন্দ। 


সেলিম বলেন, বিজেপি এবং তৃণমূল মিলে এমন ব্যবস্থা করছে যে কৃষক নিজের ধান বিক্রি করতে পারছেন না। ফসলের সরকারি দাম পাচ্ছেন না। ধানের গোলা করছে আদানি। সারের দাম বাড়ছে, সেচের খরচ বাড়ছে, বীজের দাম বাড়ছে। সবজির দামও বাড়ছে। কৃষক দাম পাচ্ছে না। 
সেলিম বলেন, কলকারখানা বন্ধ। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কারখানা করতে চেয়েছিলেন যাতে রাজ্যের যুবরা কাজ পান। এই শুভেন্দু, মমতা, সিদ্দিকুল্লা একযোগে বলেছিল লাল হটাও দেশ বাঁচাও। লাল হটেছে কিন্তু দেশ বাঁচেনি। দেশ যদি বাঁচাতে হয় লালঝাণ্ডাকে শক্তিশালী করতে হবে। লুটেরাদের তাড়াতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment