তৃণমূল সরকার যতই চেপে দিতে চাইছে, আরো জোরালো হচ্ছে বিচারের দাবি। শারদীয়া উৎসবে প্রতিবাদের সমারোহ সর্বত্র।
বুধবার জলপাইগুড়ির করলাভ্যালির মহিলা চার শ্রমিকরা মিছিল করেছিলেন জয়নগর এবং আরজিকর দুই অন্যায়ের বিচারের দাবিতে। বৃহস্পতিবার অবস্থান করেছেন ভদ্রেশ্বরে ছাত্র যুব কর্মীরা। এদিনই ধৃত সহকর্মীদের আলিপুর আদালতে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আর জি কর ও জয়নগরের ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি হয় ভদ্রেশ্বরে।
এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ভদ্রেশ্বর বিঘাটি আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়। উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই জেলা সভাপতি সুমন মাল। তিনি বলেন, “বিচারের থেকে নজর ঘোরাতে ডাক্তারদের আন্দোলনে বলপ্রয়োগ করছে পুলিশ। একশো ঘন্টার ওপর অনশন হয়ে গেছে এর পরেও সরকারের এতো অহংকার কিসের? বিচারের দাবি তোলা অন্যায় নাকি।”
যুবনেতার ক্ষোভ, “ধর্ষকদের বাঁচাতে চাইছে সরকার। আরো অনেক নেপথ্য কাহিনী আছে, আরো অনেকে জড়িত আর জি করের বিষয়ে যা আড়াল করতে চাইছে সরকার।”
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অনেক টালবাহানার পর বুধবার রাতে রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে ফোনে গ্রেপ্তারের কারণ জানানো হয় তাঁদের। লালবাজারে প্রায় ভোররাত অব্দি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতেও তাঁদের সঙ্গে জনতা থাকছেন, জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
বুধবার রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রকাশ্যে খুব উগরে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা জানান, সুপ্রিম কোর্টে বহু পক্ষীয় কমিটি গঠনের যে তথ্য রাজ্য সরকার দিচ্ছে সে সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না। হাসপাতালে সুরক্ষা এবং ‘থ্রেট কালচার’ রুখতে ব্যবস্থাপনার দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁরা বলেছেন, অভয়ার ধর্ষণ হত্যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
তাঁরা বলছেন, মনোনীত কমিটি নয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করা জরুরি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা জরুরি। সরকারপক্ষ বুধবারও বলেছে বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের পর। ১০০ ঘন্টা অনশনের পরও সরকারের এই গড়িমসির মনোভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়ার ডাক্তাররা।
Abhaya Justice
প্রতিবাদের সমারোহ রাজ্য জুড়ে, সংহতি অনশনে
×
Comments :0